জনপ্রিয় অনলাইন : বার্সেলোনায় সৈকতের কাছে অনুশীলনে বের হওয়া মানুষ ও সাইকেলচালকদের ভিড়। প্যাডেল বোর্ড নিয়ে বের হওয়া মানুষেরা উপভোগ করছে সাগরের ঢেউ।
৪৫
বছরের মার ভিসার একটি ইভেন্ট আয়োজক প্রতিষ্ঠানের চাকরি হারিয়েছেন। বার্সেলোনার কাছের
শহর কাস্তেলডিফেলসের রাস্তায় জগিং করছিলেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তের জন্য অনেক অপেক্ষায়
ছিলাম। বাড়ির ভেতরে হাটাহাটি বা ইয়োগা করার চেয়ে অনেক ভালো।
মাদ্রিদে
সাইকেলচালক ও স্কেটবোর্ডাররা শহরের রাস্তায় নেমেছেন। যদিও জনপ্রিয় এলাকায় জনসমাগম যাতে
বেশি না হয় সেই চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিশ্বে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি স্পেন। মার্চ মাস
থেকেই জারি করা হয় কঠোর লকডাউন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেশিরভাগ জনগণ বন্দি হয়ে পড়েন ঘরের
ভেতরেই। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে খেলা ও হেঁটে ব্যায়াম নিষিদ্ধ করা হয়।
ব্রিটিশ
সরকারের কনসালটেন্ট ৪১ বছরের শার্লট ফ্রাজার-প্রাইন অনুশীলনের স্বাধীনতার সুযোগ গ্রহণকারীদের
একজন। ভোর ৬টায় তিনি শহরের রেটিরো পার্কে দৌড়ানোর জন্য বের হয়েছেন। পার্কটি বন্ধ থাকলেও
ফুটপাত দিয়ে কয়েকশ মানুষ দৌড়াচ্ছেন।
শার্লট
বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে বলেছিলাম মাদ্রিদে
প্রথম বাইরে আসা ব্যক্তি হব আমি। ছয় সপ্তাহ ধরে ইয়োগা ভিডিও দেখার পর বাইরে বের হতে
পেরে আমি খুব খুশি।
আক্রান্তের
সংখ্যা কমে আসায় এবং হাসপাতালগুলোতে ভিড় কমতে শুরু করায় সরকার দেশ পুনরায় সচল করা এবং
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে। গত সপ্তাহে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের দিনে এক
ঘণ্টার জন্য বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ চার ধাপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। যে পরিকল্পনাকে তিনি
নতুন স্বাভাবিকতায় ফেরা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জুনের শেষ দিকে দেশ
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে।
বাইরে
মানুষের ভিড় কমাতে সরকার শিফট ব্যবস্থা চালু করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সের মানুষ
ভিন্ন সময়ে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। সোমবার থেকে সেলুন খুলবে। তবে বার ও রেস্তোরাঁ
বন্ধ থাকবে আরও এক সপ্তাহের জন্য।
স্পেনে
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৪
জনের। লকডাউনের কারণে দেশটি অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমেছে। ২০২০ সালে দেশটির জিডিপি ৯.২
শতাংশ হতে পারে। সূত্র: রয়টার্স।
Post A Comment:
0 comments: