সাইফুল আমীন, বিশেষ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
আবুল কাসেম চৌধুরী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ সকাল থেকে
সন্ধ্যা এমন কি মধ্যরাতে ও বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার এমন কি
অলিতে-গলিতে বিরামহীন ছুটে চলেছেন। তিনি প্রতিদিনই কোন না কোন ইউনিয়নের হাট-বাজারে
উপস্থিত হয়ে মাস্ক-গ্রাভ্স,নগদ অর্থ ও ত্রান বিতরন এবং সচেতনামূলক প্রচারনা চালিয়ে
জনসাধারনকে সচেতন করে যাচ্ছেন ।
জনস্বার্থে,দেশের স্বার্থে সরকারের
বিভিন্ন পদক্ষেপকে মেনে চলার আহবান জানিয়ে হ্যান্ড মাইকে প্রচারনা চালান।
করোনা ভাইরাসের ছোয়ছে প্রাদুর্ভাব
থেকে বাচতে সকলেই যখন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে আড়ালে চলে
গেছেন তখন তিনিই একমাত্র ব্যাতিক্রম।
করোনা ভাইরাসের আতংকে গ্রাম-গঞ্জে
অসচেতন অনেক মানুষজনই অসহায় হয়ে পড়ছেন।
দেশের এই দূর্যোগকালীন সময়ে বর্তমানে
কোন দলেরই দলীয় কোন কর্মকান্ড কিংবা অসহায় ঘরবন্দী মানুষজনের পাশে দাড়াতে দেখা যায়
নাই।
স্থানীয় প্রশাসন,সংসদ সদস্য রুটিন
অনুযায়ী কাজ করলেও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে।
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের
এ ধরনের কর্মকান্ডে অনেক মানুষই প্রশংসা করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং প্রেসক্লাবের
সভাপতি সাংবাদিক এস এম খোকন বলেন,আমাদের উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান খুবই কর্মক্ষম ও সাহসী একজন মানুষ। আমার দেখা মতে তিনি বানিয়াচংয়ের
এ যাবৎকালের শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান। অনেক নেতাই যখন স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী হয়ে আছেন,সেখানে
তিনি মানুষজনের সামনে হাজির হয়ে সাহস যুগিয়ে চলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন,আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান খুবই সাহসী ও ব্যাতিক্রম
একজন জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা পরিষধ
চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী কােেলর কন্ঠকে জানান, যদিও বর্তমানে বাইরে বের হওয়াটা
ঝুকিপূর্ন, তবুও আমি আমার উপজেলার জনসাধারনকে ছেড়ে থাকতে পারবনা।
আমি সতর্কতার সহিত প্রতিদিনই কোন
না কোন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের কে সাথে নিয়ে জনগনের কাছে যাওয়ার
চেষ্টা করে যাচ্ছি।
Post A Comment:
0 comments: