জনপ্রিয় অনলাইন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন
বেলজিয়ামের এক বৃদ্ধা। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখার
কৃত্রিম যন্ত্র প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সেই ভেন্টিলেটর তিনি ব্যবহার করতে চাননি। দিয়ে
দেন তরুণ রোগীকে বাঁচানোর জন্য। তবে অন্যকে বাঁচানোর কাজটি করে নিজেই হার মানলেন করোনার
কাছে।
দেশটির লুব্বেকের কাছের শহর বিনকমের বাসিন্দা ৯০ বছর বয়সী
সুজান হোয়েলার্টস। তিনি ২০ মার্চ স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান করোনার লক্ষণ নিয়ে। পরে
তার শরীরের ধরা পড়ে করোনা। হাসপতালে ভর্তি হয়ে যান তিনি। তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা
ছিল। কৃত্রিম যন্ত্র লাগানোর দরকার হয়। কিন্তু তিনি ডাক্তারকে বলেন, কৃত্রিম যন্ত্র
আমি ব্যবহার করতে চাই না। এটিকে যত্ন করে রাখুন কোনো এক তরুণ রোগীর জন্য। এরই মধ্যে
আমি বহু বছর বেঁচেছি। একটি সুন্দর জীবন কাটিয়েছি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২২ মার্চ তিনি মারা যান। করোনায়
আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তার মেয়ে তাকে দেখতে যেতে পারেননি। তার মেয়ে জিদাথ বলেন,
শেষ সময়ে আমি তার পাশে থাকতে পারিনি। তাকে আমি বিদায়ও জানাতে পারিনি। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
অংশ নেওয়ারও সুযোগ পাইনি।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বেলজিয়ামেও। দেশটিতে গতকাল দু’শ
মানুষ মারা যান। সেই সঙ্গে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীও মারা গেছে। ওই কিশোরীই দেশটির সবচেয়ে
কম বয়সী করোনার শিকার । দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট সাতশ পাঁচজন মানুষ মারা গেছেন।
Post A Comment:
0 comments: