মিরন নাজমুল : পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধ্যমে
স্প্যানিশ পাসপোর্টের আবেদন করে নাগরিকত্ব নেয়ার চেষ্টায় গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন স্পেনের
বহু প্রবাসী বাংলাদেশি। ২২ ফেব্রুয়ারি স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া শহরে ভুয়া পরীক্ষার্থী
সেজে স্প্যানিশ ভাষার ওপর পরীক্ষা দেবার প্রাক্কালে পাকিস্তান ও রোমানিয়ার ১৪ জনকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ তাদের তল্লাশি করে অপরাধচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী
মোবাইল ডিভাইস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নেয়া নগদ টাকা ও ১৮টি ভুয়া স্প্যানিশ রেসিডেন্ট
কার্ড পায়। এ কার্ডগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকের কার্ডও আছে বলে জানা গেছে। এখন ক্লোন
করা এ রেসিডেন্ট কার্ডের সূত্র ধরে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন
আতঙ্কে আছেন অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ ক্লোন করা কার্ডের মাধ্যমেই এ অপরাধীচক্রের পৃষ্ঠপোষকতায় একজনের হয়ে আরেকজন স্প্যানিশ ভাষায় অভিজ্ঞ ব্যক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য পরীক্ষা দেয়। অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে। স্পেনের বার্সেলোনায় ও মাদ্রিদসহ অন্যান্য শহরের আনুমানিক ১০/১২ জন দালাল সরাসরি যুক্ত আছে এ চক্রের সঙ্গে।
এ ক্লোন করা কার্ডের মাধ্যমেই এ অপরাধীচক্রের পৃষ্ঠপোষকতায় একজনের হয়ে আরেকজন স্প্যানিশ ভাষায় অভিজ্ঞ ব্যক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য পরীক্ষা দেয়। অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে। স্পেনের বার্সেলোনায় ও মাদ্রিদসহ অন্যান্য শহরের আনুমানিক ১০/১২ জন দালাল সরাসরি যুক্ত আছে এ চক্রের সঙ্গে।
তারা আগ্রহী ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মূল
অপরাধী চক্রের সঙ্গে চুক্তি করে এবং মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে অর্ধেক টাকা নিজে ভোগ করে।
এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্পেনের বার্সেলোনায়। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা
বলে জানা গেছে, প্রায় ৫ জন সক্রিয় দালালের নাম পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা হয়।
তারা বলেন, দালালরা সার্টিফিকেট করিয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে ৪ লাখ ইউরো প্রবাসীদের কাছ থেকে
হাতিয়ে নেয়।
কাতালোনিয়ার বার্সেলোনা ও মাদ্রিদসহ অন্যান্য শহর মিলে আনুমানিক
শতাধিক বাংলাদেশি এ দালালদের খপ্পরে পড়েছেন। এর মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট নিয়ে
নিয়েছেন। আবার অনেকে অর্ধেক টাকা দালালের হাতে দিয়ে এখন সেটা টাকা খোয়ানোসহ জিজ্ঞাসাবাদ,
হয়রানিসহ গ্রেফতার আতঙ্কে সময় পার করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে স্প্যানিশ পাসপোর্টের আবেদন-সংক্রান্ত
ইমিগ্রেশন আইন পরিবর্তন করে স্প্যানিশ ভাষা ও ইতিহাস-সংস্কৃতির ওপর ‘ডেলে’ ও ‘সেসেএসএ’
নামক দুটি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হবার বাধ্যবাধকতা করে দেয়া হয়। প্রবাসীদের অনেকে স্বল্প
শিক্ষিত হবার কারণে এ পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে অনীহার কারণে অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট
সংগ্রহে অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ছেন।
Post A Comment:
0 comments: