জনপ্রিয়
অনলাইন : কাতালানের স্বাধীনতাকামী নেতা ওরিয়ল জুনকারাসের জামিন নামঞ্জুর করে
কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। দুই মাস ধরে গ্রেফতার এই
নেতার বিরুদ্ধে কাতালানের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকার বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শু্ক্রবার
এক লিখিত নির্দেশনায় বিচারক বলেন, জুনকারাস আগের পথ থেকে সরে এসেছেন তার কোনও প্রমাণ পাওয়া
যায়নি। তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে আবারও একই ধরনের অপরাধের ঝুঁকি রয়েছে। বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ
ও জনগণের তহবিল তছরুপের অভিযোগে তাকে আটক রাখা হয়েছে। আদালতের এ সিদ্ধান্তের কারণে
জুনকারাস আগামী ১৭ জানুয়ারি কাতালোনিয়া পার্লামেন্টের উদ্বোধনী পর্বে শপথ নিতে
পারবেন না। এতে করে স্বাধীনতাকামী দলগুলোর দেশে জেলের বাইরে থাকা নতুন নেতা খুঁজতে
জটিলতায় পড়তে হবে।
সুপ্রিম
কোর্টের রায়ের পর পুজদেমন্ত টুইটারে বলেছেন, ‘কাতালোনিয়া ও স্পেনের মধ্যকার
দ্বন্দ্বটি অবশ্যই মীমাংসা করা দরকার। আমরা সব সময় শান্তি ও সংলাপকে পছন্দ করি।’
স্বাধীনতার
ঘোষণার পর ২১ ডিসেম্বর কাতালানে আবারও নির্বাচন হয়। নির্বাচনে একক দল হিসেবে বেশি
আসন পেয়েছে সিটিজেনস পার্টি। দলটি কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা নয়, বরং
স্বায়ত্তশাসন নিয়ে স্পেনের সঙ্গে থাকার পক্ষে। নির্বাচনের এ অবস্থায় কোন দলকে
সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮০
শতাংশের বেশি। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ ভোট পায় সিটিজেনস পার্টি। ১৩৫ সিটের পার্লামেন্টে
তারা জিতেছে ৩৬টিতে।
অন্যদিকে, স্বাধীনতাপন্থী
দল টুগেদার ফর কাতালোনিয়া,
রিপাবলিকান লেফট অব কাতালোনিয়া ও পপুলার ইউনিটি মিলে ৭০টি
আসনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমনের দল টুগেদার
ফর কাতালোনিয়া অন্য দুটি দলের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। কাতালোনিয়ার
স্বাধীনতাপন্থী দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এখনও জোট সরকার গঠনে একমত হতে পারেনি।
জুনকারাসের
রাজনৈতিক দলের আইনপ্রণেতারা বলছেন, পুজদেমন্তের আবারও কাতালোনিয়ার
প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তিনি যদি দেশে ফিরতে না পারেন তাহলে
জুনকারাসকে সমর্থন করা উচিত।
বৃহস্পতিবার
জুনকারাস আদালতে দাবি করেন,
তিনি শান্তিপ্রিয় ও সংলাপে বিশ্বাসী মানুষ। তবে বিচারক
শুক্রবারের রায়ে বলেন,
সংলাপের প্রস্তাব রাষ্ট্রের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের অবসান বলে
তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
Post A Comment:
0 comments: