রিয়াদ : সাম্প্রতিক
কালে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে আসার
জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জেদ্দায় ওআইসি স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের
ষষ্ঠ সম্মলনে বাংলাদেশ আজ এ আহবান জানায়। বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটি প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ দূতাবাসের
মিশন উপ-প্রধান ও ওআইসির Assistant Permanent Representative ডঃ এমডি নজরুল ইসলাম সম্মলনে অংশগ্রহন করেন। এ সম্মলনের থিম হল “সব নীতিতে স্বাস্থ্য”।
সম্মেলনে বাংলাদেশ জানায় সাম্প্রতিককালে
মায়ানমার থেকে বিতাড়িত প্রায় ছয় লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের সাস্থসেবা প্রদান করা
বাংলাদেশের জন্য বিরাট চ্যালেন্জের বিষয়। মিয়ানমার থেকে আসা শিশু, নারী ও বয়স্ক রোহিঙ্গা
নাগরিকদের অধিকাংশই দুর্বল ও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ ও অন্যান্য
দাতা সংস্থার সাথে সাধ্যমত তাদের দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ প্রদান করে আসছে। তবে
প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়, তাই ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর
জন্য বাংলাদেশ আহবান জানায়।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি
জানায়, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ গুলো অতিক্রম
করে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিশুমৃত্যুর
হার কমিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পুরস্কার পেয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা বাংলাদেশ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ও ধরে রাখতে চায়।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি
মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে, এ লক্ষে সবার জন্য জ্ঞান-ভিত্তিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাবস্থা
গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। জনগনের দোর গোঁড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্তে ইতিমধ্যে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক
গড়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি জানান ইসলামিক
দেশগুলির বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য
ঝুঁকিপূর্ণ এবং এসকল ঝুঁকি মোকাবেলার অনেক অভিজ্ঞতা আমাদের আছে এবং ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলির
সাথে বাংলাদেশ তার অভিজ্ঞতা সবসময় ভাগ করে থাকে।
সম্মেলনে বাংলদেশ স্বাস্থ্য খাতের
অবস্থা উন্নত করার জন্য ও দুর্বল দেশগুলির জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে
বরাদ্দ বাড়ানোর আহবান জানায়। সম্পদের সর্বোত্তম ব্যাবহার করে এবং বিজ্ঞান-ভিত্তিক
জ্ঞান ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জগুলিকে পরাজিত করবে বাংলাদেশ। সকলের জন্য
সুস্থতা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ওআইসির সকল সদস্য রাষ্ট্রের সাথে
কাজ করার জন্য প্রস্তুত বলে ও বাংলাদেশ জানায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিদলের
মধ্যে যুগ্ম সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সিভিল সার্জন ডঃ জাকির হোসাইন খান সম্মেলনে উপস্থিত
ছিলেন। গত ৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এ সম্মেলন যা শেষ হবে আগামী ৭ ডিসেম্বর।
প্রেস
রিলিজ :
Post A Comment:
0 comments: