সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কানাডা : আগামী তিন বছরে প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করেছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার। তিনটি ক্যাটাগরিতে এই অভিবাসী নেওয়া
হবে বলে বুধবার অটোয়ায় ‘হাউস
অফ কমন্স’-এ এই তথ্য জানান কানাডার সিটিজেনশিপ,
অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন।
যে সব ক্যাটাগরিতে লোক নেয়া হবে, তা হচ্ছে- ইকোনোমিক মাইগ্রেন্ট
ক্যাটাগরি, পরিবার ক্যাটাগরি; এমন কি শরণার্থী ক্যাটাগরিও। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে নেয়া
হবে তিন লাখ ১০ হাজার অভিবাসী, ২০১৯ সালে যা হবে তিন লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২০ সাল এগিয়ে
দাঁড়াবে তিন লাখ ৪০ হাজারে।
মন্ত্রী বলেন, অভিবাসী নেওয়ার নতুন এই লক্ষ্যমাত্রা ২০২০
সালের মধ্যে কানাডার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ হবে, যা বয়সের ভারসাম্য বজায় রাখবে।
তিনি এই সিদ্ধান্তকে সরকারের ঐতিহাসিক, দায়িত্বপূর্ণ পরিকল্পনা এবং সাম্প্রতিক সময়ের
সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সিদ্ধান্ত বলে অবিহিত করেন। ‘নতুন অভিবাসীরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে
আমাদের সরকার বিশ্বাস করে’, বলছিলেন আহমেদ হুসেন। ২০৩৫ সালের
মধ্যে ৫০ লাখ কানাডীয় অবসরে যাবেন, এবং তখন সিনিয়র ও অবসরপ্রাপ্তদের সাহায্যে আমাদের
খুব কম সংখ্যক লোক থাকবে’, যোগ করেন মি. হুসেন।
হুসেন বলেন, ১৯৭১ সালে প্রতি একজন সিনিয়র নাগরিকের জন্য
৬ দশমিক ৬জন কর্মক্ষম মানুষ ছিলেন, কিন্তু ২০১২ সালে এই অনুপাত কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক
২জনে এবং ২০৩৬ সালে এই অনুপাত হবে প্রতি একজন সিনিয়র নাগরিকের জন্য মাত্র ২জন কর্মক্ষম
মানুষ। আর এই সময়ের মধ্যে জনসংখ্যার প্রায় শতভাগ বৃদ্ধি আসবে অভিবাসীদের মাধ্যমে।
বর্তমানে আসে ৭৫ শতাংশ আছে বলে সিবিএন থেকে জানা যায়।
হুসেন আরও বলেন, অভিবাসন নতুনত্ব আনে এবং অর্থনীতিকে সুদৃঢ়
করে। পরিবারের সদস্যদের অভিবাসন এবং নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে সময়ক্ষেপণ
জটিলতা কমাতে কাজ করছে তার সরকার। ফেডারেল সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা
পরিষদ ২০২১ সাল থেকে সাড়ে চার লাখ নতুন অভিবাসী নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।
এদিকে কুইবেক সরকার আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে বিভিন্ন
ক্যাটাগরিতে আলাদা ভাবে অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সুত্র : দৈনিক ইত্তেফাক ।
Post A Comment:
0 comments: