জনপ্রিয়
অনলাইন : কাতালোনিয়ার
স্বাধীনতা ঘোষণা ঠেকাতে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির আগামী সোমবারের (৯ অক্টোবর) অধিবেশন
স্থগিত করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সাংবিধানিক আদালত। ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আদালত এই
আদেশ জারি করে। এতে বলা হয়, কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টের আগামী সপ্তাহের অধিবেশনে স্থগিতাদেশ
দেওয়া হয়েছে। এরপরও অধিবেশনের আয়োজন করা হলে তা হবে সংবিধান লঙ্ঘন। এক প্রতিবেদনে এ
খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
আগামী সোমবার কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণার
কথা জানিয়েছিলেন স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির নেতারা। তবে এর আগেই বৃহস্পতিবার এ
ইস্যুতে স্পেনের সাংবিধানিক আদালতের নিষেধাজ্ঞা এলো।
ব্যাপক পুলিশি সহিংসতার মুখে স্পেন সরকার কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত
ওই গণভোটের আয়োজন করে কাতালোনিয়ার কর্তৃপক্ষ। আগেই নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, গণভোটে
স্বাধীনতাপন্থীরা জয়ী হলে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হবে।
গণভোটের পর কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইজমেন্ট জানিয়েছিলেন
তিনি সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্ততার পক্ষপাতী। কিন্তু স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার
তা প্রত্যাখ্যান করে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় জানান, যে কোনও ধরনের সমঝোতার
আগে কাতালোনিয়াকে আইনের পথে ফিরে আসতে হবে।
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী পপুলার ইউনিটি ক্যান্ডিডেসি
(সিইউপি)-এর এমপি বয়া বলেন, আমরা জানি বাধা ও গ্রেফতার করা হতে পারে। কিন্তু আমরা প্রস্তুত
এবং কিছুতেই থামানো যাবে না।
কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইজমেন্ট জানান, তিনি কাতালোনিয়ার
পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব তুলবেন। তিনি বলেন, এখন সময় মধ্যস্ততার।
আমরা অনেক প্রস্তাব পেয়েছি শেষ মুহূর্তে এবং আরও অনেক পাবো।
নির্দিষ্ট তারিখের কথা উল্লেখ না করে পুইজমেন্ট জানান, আগামী
কয়েক দিনের মধ্যে কাতালোনিয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন,
গতকালের চেয়ে আজ আমরা নিজেদের ঐতিহাসিক আকাঙক্ষার অনেক কাছে। তবে স্পেন সরকার জানিয়েছে,
পুইজমেন্ট কাতালোনিয়াকে আইনের পথে নিয়ে আসার সুযোগ নষ্ট করেছেন।
উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর গণভোটে কাতালোনিয়ার ৯০ শতাংশ মানুষ
স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছেন। গণভোটে ভোটারদের উপস্থিতির হার ৪২ শতাংশ। মাদ্রিদকেন্দ্রিক
স্প্যানিশ সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশটির সাংবিধানিক আদালত কাতালোনিয়ার গণভোটকে
অবৈধ ঘোষণা করে। ভোটের দিন ব্যাপক পুলিশি সহিংসতায় ৮ শতাধিক মানুষ আহত হন।
Post A Comment:
0 comments: