লায়েবুর খাঁন : গত ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদ বার্সেলোনায়  এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল  অনুষ্ঠিত হয়েছে
সভায় ঐতিহাসিক বদর দিবসের তাৎপর্য ও বদর দিবসের ইতিহাস শীর্ষক আলোচনা করেন  হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান এবং হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল ।বক্তব্যে বলা হয়, ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের ১৭ রমজান ৩১৩ জন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে হযরত মহানবী (সা.) মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৮০ মাইল দূরে বদর নামক স্থানে কাফেরদের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
ইতিহাসে এ যুদ্ধকে বদর যুদ্ধ বলে অবহিত করা হয়। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে তিনি দোয়া করেন-হে আল্লাহ! ক্ষুদ্র এ (মুসলিম) দলটি যদি আজ শেষ হয়ে যায়, তবে কিয়ামত পর্যন্ত তোমার নাম নেওয়ার মতো কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।রাসুল (সা.)-এর এই দোয়া থেকেই স্পষ্ট হয়, বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট কী ভয়াবহ ছিল! মহান আল্লাহ দয়া করে সেদিন ফেরেশতাদের মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেছিলেন।
যদিও এটি ক্ষুদ্র একটি যুদ্ধ ছিল, কিন্তু এর প্রভাবে বিশ্বের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বাতাসের গতি পরিবর্তন হয়ে যায়। যারা একদিন আগেও ইসলামের যাত্রাপথ রোধ করাকে সহজ মনে করেছিল, তারা বুঝতে পেরেছে যে পবিত্র ইসলামের এ অগ্রযাত্রাকে রোধ করা কেবল কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে। মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে এই যুদ্ধে জনবল ছিল মাত্র ৩১৩ জন। এর মধ্যে ৭০ জন মুহাজির ও বাকিরা আনসার।
অন্যদিকে কাফের কুরাইশ বাহিনীর সংখ্যা ছিল এক হাজার। তন্মধ্যে ১০০ জন অশ্বারোহী, ৭০০ জন উষ্ট্রারোহী ও বাকিরা পদব্রজী ছিল। সত্যপথের অনুসারী অল্পসংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করায় সত্য-মিথ্যার চিরপার্থক্য সূচিত হয়ে যায়। তাই এ দিবসকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যের দিন বলা হয়। আলোচনা সভা শেষে বদর যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: