বাহার উদ্দিন বকুল,
জেদ্দা, সৌদি আরব : জেদ্দা প্রবাসী বাংলাদেশ সমাজে
একটি অতি পরিচিত সামাজিক সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি, জেদ্দা;
প্রবাসী নোয়াখালীর সামাজিক ব্যাক্তিত্বদের পদচারনায় ২০০৫ সালে
প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি। জন্মলগ্ন থেকেই সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সৌদি আরব
প্রবাসীদের নজর কাড়ে সংগঠনটি।
৩১মার্চ শুক্রবার জেদ্দার একটি পিকনিক স্পটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সমিতির
১১তম বর্ষপূর্তি ও সময়িকী একতা এর ১১তম সংখ্যা প্রকাশনা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা। শুরুতেই অতিথিদের অভ্যার্থনা, মধ্যাহ্ণভোজ,
ছোট-বড়দের খেলাধুলা। আলোচনা সভায়, পবিত্র
কোরানআন থেকে তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা। বিশিষ্ট
সমাজসেবক সংগঠনের সভাপতি আক্কাস মিঞার সভাপতিত্বে ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমীর
মোহাম্মদ ফিরোজ ও সেলিম রেজা, এবং মারওয়া অওাজিউল্লাহ-এর
যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্।
বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন, সমিতির
প্রধান উপদেষ্টা এ,কে,এম
শাহজাহান সীরাজী, সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক, আলহাজ্জ আবদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ
কাশেম, আবুল বাসার ইসলাম, নুর
মোহাম্মদ ভুঁইয়া, মামুনুল ইসলাম, সহিদ হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ ওয়াজি উল্লাহ,
শামিম চৌধুরী, জয়ানাল আবেদিন, সাইফুল ইসলাম বাবুল, গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ,মোহাম্মদ
আনোয়ার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, কাযিম
উদ্দিন, মোহাম্মদ খায়রুল আলম চৌধুরী, রৌশন জামিল শিপু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খোরশেদ আলম, এ,কে,এম, শাহ আলম, আবুল
খায়ের ভুঁইয়া, জাহিরুল ইসলাম, একরামুল
হক, গাজী সাহেদ, আবুল খায়ের,
আবদুল মালেক,বাহার উদ্দিন বাদল,ইমাম হোসেন, মোহাম্মদ কালাম, খোরেশেদ আলম,
মইন উদ্দিন নোমান, আল মামুন শিপন, মোহাম্মদ দাউদ, আবদুল মান্নাফ, আবু নাছের সিদ্দিকি, মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, মোহাম্মদ অহিদূর
রহমান, মহিবুর রহমান, মীর কাশেম
ভুঁইয়া, আবদুল্লাহ মিয়াজি, মোহাম্মদ
সাহজালাল, খন্দকার আবদুল মাহবুব, নুর সামাদ মিয়াজি, আবুল বাসার বুলবুল, কাজী নেয়ামুল বশির, মার্শেল কবির পান্নু,
সারতাজুল আলম দিপু, শেখ ফজলুল কবির ভীকু,
দেলোয়ার হোসেন সরকার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সৌদি নাগরিক বৃন্দ
সহ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে
বলেন, প্রবাসে বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসীদের কল্যাণে সমিতি বিশেষ অবদান রাখছে।
গরিব ও অসহায় প্রবাসীদের সেবায় এগিয়ে আসছে, আর্থিক
সাহায্যের মাধ্যমে ইকামা, চিকিৎসা ও যারা টাকার সমস্যার
কারণে দেশে ফিরে যেতে পারছে না তাদের সহযোগিতা সহ বিভিন্ন আর্থিক সামাজিক
উন্নয়নের কাজে এগিয়ে আসছে বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি।
সময়িকী একতা
এর মতো সৃজনশীল প্রকশনা প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে একএিত করে আত্মাত বন্ধনকে আরও
সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে এবং আমাদের সাহিত্য সাংস্কৃতিকে সমৃধ্ব করার পাশাপাশি
আঞ্চলিক ইতিহাস,ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে নবরূপে প্রকাশ করতে
সহায়তা হবে।
বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি, জেদ্দার
এ প্রচেষ্টা প্রবাসে কন্টাকাকীর্ন জীবনের মাঝে ক্ষণিকের জন্য হলেও সকলের মধ্যে
প্রাণের সঞ্চার করবে। এ ধরনের সমিতি তাঁদের সৃজনীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের
কাজের মনোবলকে আরও উজ্জীবিত করবে।
বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী কল্যান সমিতি, জেদ্দার উদ্যেগে প্রকাশিত সময়িকী একতা-এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক
অভিনন্দন জানায়। নোয়াখালীবাসীসহ সকল বাংলাদেশীদের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং
বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসী কল্যান সমিতি সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করেন। সৌদি আরবের
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাজ করার আহব্যান জানান। সভাপতির সমাপনি বক্তব্য আক্কাস
মিয়া বলেন, দুঃস্থ মানবতার কল্যাণের উদ্দশ্য সৃষ্টি করা এবং বাংলাদেশী প্রবাসী
ভাইবোনদের মাঝে একতা, ভাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যমূলক সর্ম্পক
উন্নয়ন করা-এ লক্ষ্য নিয়ে একটি সম্পুন্য অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গত ১০ বছর ধরে কাজ
করে যাচ্ছে নোয়াখালী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি, জেদ্দা,
সৌদি আরব। একই সাথে বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইবোনদের মাঝে বাংলাদেশী
সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে বৃহওর নোয়াখালী প্রবাসী
কল্যাণ সমিতি প্রতি বছর পালন করে আসছে বাৎসরিক বর্ষপূর্তি অনুষ্টান ও বাৎসরিক
ম্যাগাজিন একতা প্রকাশ করে যাচ্ছে। সমিতির বিগত ও বর্তমান দিনের এই ধারাবাহিক
সাফল্যের দাবিদার, এই সমিতির সকল প্রাণপ্রিয় প্রাক্তন এবং
বর্তমান সদস্যবৃন্দ এবং বৃহওর নোয়াখালী প্রবাসী ভাইবোনসহ সকল বাংলাদেশীদের প্রতি
রহিল আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। মহান স্বাধীনতা
দিবসের এই মাসে ১৯৭১ সালে যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যামে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এরপর প্রধান অতিথিকে ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট
দিয়ে সন্মাননা প্রধান করেন। এছাড়াও বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রতিষ্ঠিত দুইজন
ব্যবসাইদেরকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং সমিতিতে যাদের অবদান রয়েছে এমন দুইজনকে
আজীবন সন্মনানা ক্রেস্ট প্রধান করা হয়।
এরপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক
অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রথমে নোয়াখালী আঞ্চলিক গান
পরিবেশন করেন সমিতির সভাপতি আক্কাস মিয়া ও তার দল, এবং জেদ্দার জনপ্রিয়
সাংস্কৃতিক শিল্পী মিজারনুর রহমান এবং তার দল।
Post A Comment:
0 comments: