মিরন নাজমুল,বার্সেলোনা : গত
৭ ও ৮ এপ্রিল স্পেনের বার্সেলোনায় কনস্যুলার সার্ভিসে প্রথমবারের প্রবাসীদের জন্য মেশিন
রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাদ্রিদ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। ২
দিনব্যপী অনুষ্ঠিত কনস্যুলার সার্ভিসে সিরিয়াল অনুসারে অন্তত ৬৫ জন প্রবাসীর
এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়।
কনস্যুলার সার্ভিসে এমআরপির আবেদন
ছাড়াও ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের পাসপোর্টের আবেদন গ্রহন, পূর্বে আবেদন করা পাসপোর্টের
এনরোলমেন্ট, ট্রাভেল পারমিট প্রদান, এনভিআর এর আবেদন গ্রহন, কাগজপত্র সত্যায়নসহ অন্যান্য
কনস্যুলার সেবা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দূতাবাসের কমার্সিয়াল সেক্রেটারী মোহাম্মদ নাভিদ সফিউল্যাহ, প্রথম
সেক্রেটারী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা প্রথম দিন
শুক্রবার বার্সেলোনার কনস্যুলার অফিসে এবং দ্বিতীয় দিন শনিবার স্থানীয় একটি হলরুমে
এই কনস্যুলার সেবা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাস
কর্তৃপক্ষ এই মর্মে তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে একটি জরুরী বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করে। উক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস বার্সেলোনা থেকে পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা
ঘোষণা করে। এই ঘোষণার ফলে বার্সেলোনা প্রবাসীদের দীর্ঘসময় ধরে করে আসা একটি
গুরুত্বপূর্ণ দাবী আলোর মুখ দেখে। এই প্রক্রিয়া শুরুর আগে বার্সেলোনায় বসবাসরত প্রবাসী
বাংলাদেশীরা পাসপোর্টের আবেদন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য প্রায় ৭ শত কিলোমিটার পথ
পাড়ি দেয়ার কষ্ট স্বীকার মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যেতে হতো। বার্সেলোনা
থেকে মাদ্রিদের দূরত্বগত এই প্রতিবন্ধকতার কারণে বার্সেলোনা প্রবাসী বাংলাদেশীরা বার্সেলোনার
স্থানীয় কনস্যুলার অফিসে এমআরপি সিস্টেল চালু করার দাবী জানিয়ে আসছিলো। স্পেনে
নিযুক্ত বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বিষয়টির গুরুত্ব
অনুধাবন করে প্রক্রিয়াটি চালু করার উদ্যেগ নেন। এরই ফলশ্রুতিতে বার্সেলোনায় এমআরপি
পাসপোর্টের আবেদনের সুযোগসহ আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল কনস্যুলার সার্ভিস দেয়ার ঘোষণা দেয়
দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
বার্সেলোনার বাংলাদেশ
কনস্যুলার অফিসের কনস্যুলেটর সিনিয়র রামন পেদ্রো কনস্যুলার সার্ভিসে এমআরপি
আবেদনের সুযোগ তৈরি করাসহ কনস্যুলার সার্ভিসে সার্বিক সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের
অফিস স্টাফসহ স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
Post A Comment:
0 comments: