সুফিয়ান আহমদ, বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারের সীমান্তবর্তী দুবাগ ইউনিয়নের
গজুকাটা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব বিরোধের জের
ধরে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশত আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
প্রেরন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে সংঘঠিত এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে এখনো থমথমে
পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনদিন পূর্বে গজুকাটা গ্রামের আকদ্দছ আলীর বাড়ির সুপারী
চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে উনার গোষ্টির রুবেল আহমদ (১৯)। এ সময় বাড়ির মালিক পক্ষ সুপারী
চুরির দায়ে ধৃত রুবেলকে তিরষ্কার ও গালাগালি করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের আফতাব আলী
(সাবেক মেম্বার) সুপারী চোরের পক্ষ নিয়ে পরদিন আকদ্দছ আলীর গোষ্টিকে হুমকি দেন। এ নিয়ে
আকদ্দছ আলীর গোত্রের লোকজন শনিবার সকালে নিজেদের মধ্যে এক সভায় মিলিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত
অনুয়ায়ী এ বিষয়টিতে আফতাব আলী জড়িত হওয়ার কারণ জানতে গ্রামের প্রতিনিধিরা আফতাব আলীকে
জিজ্ঞাসা করেন। এ নিয়ে আফতাব আলীর সাথে তাদের বাগবিতন্ডা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই
পক্ষই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা
থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। জকিগঞ্জ সার্কেল এসপিও ঘটনাস্থলে আসেন। বেলা ১টার
দিকে পুলিশ দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ময়নুল ইসলাম (৩৫), মোঃ রায়হান (২৬), তানভীর আহমদ (১৬), হোসাইন (১৮), নাহিদ (১৬), মনজুর ইসলাম (২৬), জুবের (২৬), ডলি বেগম (৪৫), রুসনা বেগম (৩৫), জামান উদ্দিন (৪৬), মনু মিয়া (৪০), মজনু মিয়া (৫০), ছব উদ্দিন (২৪), হেনা বেগম (২৭), দেলোয়ার (২২), জামিল (২৫), ইয়হিয়া (২৫), জুবের আহমদ (২২), বদরুল ইসলাম (৩৮), আশরাফুল আলম (১৯), সুলেমান হোসেন (৫০), ছয়রুন নেছা (৮০), সুফিয়ান আহম্মদ (৪০), হোসেন আহম্মদ (৩০), রোমান আহম্মদ (১০), নাসরিন (৩০), পারভীন (৩০), দুলাল আহমদ (৩০), সাহেদ আহমদ (২৮), হেলাল উদ্দিন (৪৫), সুহেদ আহমদ (২৫), আতিক আহমদ (২৭), ইব্রাহিম (২৯), রাজ উদ্দিন (৩১), মনসুর আহমদ (২২), ফয়জুল আহমদ (৩১), রহমত আলী (৫৮), জসিম আহমদ (৪০), রাসেদ আহমদ (২২), আনোয়ার (২৫), মিলাদ আহমদ (২৯),কাদির আহমদ (২১), হানু মিয়া (৪৪), নুরুল ইসলাম (৩১) ।
এরমধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উভয় পক্ষের সুফিয়ান আহম্মদ (৪০), হোসেন আহম্মদ (৩০) জামিল আহমদ (২৫) ও দেলোয়ার
হোসেন (২৩) কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষই বিয়ানীবাজার
থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার
চক্রবর্তী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে
কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আমরা সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রনে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
Post A Comment:
0 comments: