রাকেশ রহমান : ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। যদিও বলা হয় পশ্চিমা
সংস্কৃতির একটি অংশ ভ্যালেন্টাইন ডে। আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবসের চালু বেশ কয়েক যুগ
হল। মূলত ইউরোপের প্রাণ কেন্দ্র ইতালিতেই ভালোবাসা দিবসের প্রচলন চালু হয়ে গোটা বিশ্বে
ছড়িয়ে পড়েছে।২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনস নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী
ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে
বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায়
তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট
ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই
দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইনস
স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস ঘোষণা করেন।আমিও একজন সফল প্রেমিক কিন্তু
এখন পর্যন্ত এত আয়োজন করে ভালোবাসা দিবস পালন করতে পারিনি। তবে প্রতিটি ছুটির দিনই
আমার কাছে নতুন কোন উৎসবের দিন মনে হয়।
ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে আল্লাহ্র রহমতে ভালো আছি ‘আলহামদুলিল্লাহ্’।ভালোবাসা আসলে হৃদয় থেকে অনুভবের একটি ব্যাপার।
ভালোবাসা যার হৃদয়ে বিন্দু মাত্র আছে সেই অনুভব করতে পারে আসলে ব্যাপারটা কি?
যদি কেউ কাউকে ভালোবাসে তাহলে সেই উপলব্ধি করতে পারবে কি ধরণের পরিবর্তন ভালোবাসা জীবনে ঘটাতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে।
তবে ভালোবাসা বলতে শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালোবাসাই ভালোবাসা নয়। এছাড়াও ভালোবাসার ভিতর পরে মা-বাবা, ভাইবোন , সন্তানদের , বন্ধু , শত্রু-মিত্রু , সমাজের মানুষ সহজীবি, এলাকা শহর দেশ ছাড়াও জড় পদার্থ যেমন পোশাক , কসমেটিক, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ছাড়াও যানবাহন গাড়ি মোটরসাইকেল সাইকেল সহ আরো অনেক কিছু হতে পারে।
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা। ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত।
আমি অন্যদের কথা বলতে পারিনা নিজেরটা বলতে পারি, আমি সহজেই যেকোনো মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীলতা ও ভালোবাসার ছোঁয়া দিতে চেষ্টা করি। অতি অল্পতেই ভালবাসতে শুরু করি এবং আপন করে নেই। যদিও পরে এর জন্য মাসুল দিতে হয়, এতে সমস্যা নেই কারন যারা বুঝে না তাদের বুঝানো সম্ভব নয়। আমি ব্যাথিত হলাম বা মর্মাহত হলাম তাতে ক্ষতি নেই। তবে ক্ষতির সম্মুখীন তারাই যারা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হল।
ভালোবাসার মধ্যে মূল্যবান ভালোবাসা হচ্ছে পারিবারিক ভালোবাসা। মা-বাবা, ভাইবোন আপনজনের চেয়ে বেশি ভালোবাসা অন্য কারো সাথে হতে পারে না। তবে বিপরীত লিঙ্গের ভালোবাসা তথা স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা অন্য অধ্যায়। এই অন্য অধ্যায়কে আমরা বেশির ভাগরাই মিলিয়ে ফেলি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। বিশেষ করে বাবা-মা'র ভালোবাসার সাথে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা মিলানো একে বারেই উচিত নয়। দুই দিকের সম্পর্ক দুই দিকে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আজ আমার প্রেমের অর্থাৎ ভালোবাসার কিছুটা স্মরণ করছি।
সাম্প্রতিক দেশের ভয়াবহ রাজনিতিক পরিস্থিতি নিরাপদ জীবন সব মিলিয়ে পাড়ি জমাই ইতালিতে। আসার পর শুরু হয়ে যায় মেয়ে খোঁজার পালা বিয়ে করবো। মনে মনে আমি সেই প্রিয় মানুষের মুখটা কল্পনা করতে থাকি স্বপ্ন দেখতে থাকি আসলে কেমন হতে পারে সেই কাংক্ষিত মুখ।আমার অবসর সময় গুলো অর্থাৎ ব্যস্ত রাস্তায়, চাঁদনী রাতে জোছনার আলোয় একা একা বসে চিন্তা করতাম, যে হবে আমার সঙ্গিনী সে এখন কোথায় কি করছে মাঝে মাঝেই চোখ বন্ধ করে ভাবতাম তার মনের আশে পাশে যাওয়া যায় কিনা। যদিও আমি এক পাগল প্রেমিক, দেশে থাকতেই অনেক খুঁজেছি অর্থাৎ কোন মেয়েকে ভালো লাগলেই জিজ্ঞাসা করেছি সে প্রেম করে কিনা অথবা বিয়ে করতে চাই যদি সম্মতি দেয় তাহলে নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক করার মাধ্যমে মনের মিলের ভিক্তিতে বিয়ের দিকে এগিয়ে যাবো সারা জীবন এক সাথে চলার জন্যে। তবে কখনও কোন দিনও কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিন্দু মাত্র চেষ্টাও করিনি। তাই হয়তো উপর আল্লাহ্আমার নেক বাসনা পূরণ করেছেন। ইতালিতে আমি প্রথম বাংলাদেশী যে ইতালির মিউনিশিপাল অফিসে মেয়রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছি একটা বাংলাদেশি মেয়েকে।
আমাদের প্রথম দেখা ফেসবুক তারপর বন্ধুত্ব। প্রথম দেখা থেকেই আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই।সে কি অনুভূতি, ফেসবুকে মেসেজ দেই একবা দুই বার বহুবার তবে কোন উত্তর নাই। আর অন্য দিকে আমার নাওয়া খাওয়া ঘুম হারাম করে যে কবে মেয়েটার কোন উত্তর পাবো। একটু কথা বলতে চেয়েছি তাও বলতে দিচ্ছে না। মেয়েটা এমন কেন করছে আর পারছিনা। আমার ফোন নাম্বার পর্যন্ত দিয়েছি তবুও কোন খবর নাই। সেল ফোনটা বুকে নিয়ে ঘুমাই যদি সে ফোন দেয়। কিযে দুশ্চিন্তায় আছি ফোন বাজলেই অন্তরে ব্যাথা অনুভব করি। উত্তেজিত হয়ে মোবাইলটা দেখি, না অন্য কেউ। কি যে কষ্ট এই অপেক্ষায় সময় পার করেছি তা আমি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।
রোজার মাস, শুধু আল্লাহ্কে বললাম আমি এই মেয়েটাকেই চাই তুমি আমার করে দিবে। আমি আর কিছু জানি না। কিভাবে দিবে তা আল্লাহ্তোমার ব্যাপার এবং মনটা নরম করে দিও যাতে সে আমার মত করে আসে আর আমার ইচ্ছে মত চলে। একটা ভয়, মেয়েটা ইতালিতে আছে আমার থেকে বেশি দিন আগে পরিবারের সাথে সুতরাং আমার সব কথা হয়তো সে মেনে নিবে না ।তবুও ভাবি যত কঠিনই হোক না কেন তাকে ভালোবাসায় তৈরি করে নিবো ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার ইচ্ছে মত।
দেখতে দেখতে দিন চলে যাচ্ছে কোন ফোনও আসে না হঠাৎ করে আমার জন্মদিনে সে ফোন দেয় ওহ! কিযে শান্তি তা বলে বা লিখে বুঝাতে পারবো না।
অদ্ভুত এক অনুভূতি দুনিয়াটা বাস্তব হয়ে উঠলো। হৃদয়ে নতুন এক অনুভূতির সঞ্চার হল। কি শান্তি এই প্রথম জন্মদিনের দিন মনে হয় কিছু পেলাম। এর জন্যই মনে হয় সারা জীবন অপেক্ষায় ছিলাম। ধন্যবাদ ফেসবুক।
আমার জীবনে ভালোবাসা দিবস কখনও আমি করতে পারিনি না দেশে না বিদেশে।
তবে ভালোবাসা দিবসে আমরাও করতে পারি একদিন সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্দরভাবে । আশাকরি এবারের ভালোবাসা দিবসে বয়ে আনবে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের বন্ধন আমাদের দেশে। সবার প্রতি লাল গোলাপ ভালোবাসার শুভেচ্ছা রইল।
লেখক: ইতালি প্রবাসী
ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে আল্লাহ্র রহমতে ভালো আছি ‘আলহামদুলিল্লাহ্’।ভালোবাসা আসলে হৃদয় থেকে অনুভবের একটি ব্যাপার।
ভালোবাসা যার হৃদয়ে বিন্দু মাত্র আছে সেই অনুভব করতে পারে আসলে ব্যাপারটা কি?
যদি কেউ কাউকে ভালোবাসে তাহলে সেই উপলব্ধি করতে পারবে কি ধরণের পরিবর্তন ভালোবাসা জীবনে ঘটাতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে।
তবে ভালোবাসা বলতে শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালোবাসাই ভালোবাসা নয়। এছাড়াও ভালোবাসার ভিতর পরে মা-বাবা, ভাইবোন , সন্তানদের , বন্ধু , শত্রু-মিত্রু , সমাজের মানুষ সহজীবি, এলাকা শহর দেশ ছাড়াও জড় পদার্থ যেমন পোশাক , কসমেটিক, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ছাড়াও যানবাহন গাড়ি মোটরসাইকেল সাইকেল সহ আরো অনেক কিছু হতে পারে।
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে... এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা। ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত।
আমি অন্যদের কথা বলতে পারিনা নিজেরটা বলতে পারি, আমি সহজেই যেকোনো মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীলতা ও ভালোবাসার ছোঁয়া দিতে চেষ্টা করি। অতি অল্পতেই ভালবাসতে শুরু করি এবং আপন করে নেই। যদিও পরে এর জন্য মাসুল দিতে হয়, এতে সমস্যা নেই কারন যারা বুঝে না তাদের বুঝানো সম্ভব নয়। আমি ব্যাথিত হলাম বা মর্মাহত হলাম তাতে ক্ষতি নেই। তবে ক্ষতির সম্মুখীন তারাই যারা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হল।
ভালোবাসার মধ্যে মূল্যবান ভালোবাসা হচ্ছে পারিবারিক ভালোবাসা। মা-বাবা, ভাইবোন আপনজনের চেয়ে বেশি ভালোবাসা অন্য কারো সাথে হতে পারে না। তবে বিপরীত লিঙ্গের ভালোবাসা তথা স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা অন্য অধ্যায়। এই অন্য অধ্যায়কে আমরা বেশির ভাগরাই মিলিয়ে ফেলি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। বিশেষ করে বাবা-মা'র ভালোবাসার সাথে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা মিলানো একে বারেই উচিত নয়। দুই দিকের সম্পর্ক দুই দিকে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আজ আমার প্রেমের অর্থাৎ ভালোবাসার কিছুটা স্মরণ করছি।
সাম্প্রতিক দেশের ভয়াবহ রাজনিতিক পরিস্থিতি নিরাপদ জীবন সব মিলিয়ে পাড়ি জমাই ইতালিতে। আসার পর শুরু হয়ে যায় মেয়ে খোঁজার পালা বিয়ে করবো। মনে মনে আমি সেই প্রিয় মানুষের মুখটা কল্পনা করতে থাকি স্বপ্ন দেখতে থাকি আসলে কেমন হতে পারে সেই কাংক্ষিত মুখ।আমার অবসর সময় গুলো অর্থাৎ ব্যস্ত রাস্তায়, চাঁদনী রাতে জোছনার আলোয় একা একা বসে চিন্তা করতাম, যে হবে আমার সঙ্গিনী সে এখন কোথায় কি করছে মাঝে মাঝেই চোখ বন্ধ করে ভাবতাম তার মনের আশে পাশে যাওয়া যায় কিনা। যদিও আমি এক পাগল প্রেমিক, দেশে থাকতেই অনেক খুঁজেছি অর্থাৎ কোন মেয়েকে ভালো লাগলেই জিজ্ঞাসা করেছি সে প্রেম করে কিনা অথবা বিয়ে করতে চাই যদি সম্মতি দেয় তাহলে নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক করার মাধ্যমে মনের মিলের ভিক্তিতে বিয়ের দিকে এগিয়ে যাবো সারা জীবন এক সাথে চলার জন্যে। তবে কখনও কোন দিনও কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিন্দু মাত্র চেষ্টাও করিনি। তাই হয়তো উপর আল্লাহ্আমার নেক বাসনা পূরণ করেছেন। ইতালিতে আমি প্রথম বাংলাদেশী যে ইতালির মিউনিশিপাল অফিসে মেয়রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছি একটা বাংলাদেশি মেয়েকে।
আমাদের প্রথম দেখা ফেসবুক তারপর বন্ধুত্ব। প্রথম দেখা থেকেই আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেই।সে কি অনুভূতি, ফেসবুকে মেসেজ দেই একবা দুই বার বহুবার তবে কোন উত্তর নাই। আর অন্য দিকে আমার নাওয়া খাওয়া ঘুম হারাম করে যে কবে মেয়েটার কোন উত্তর পাবো। একটু কথা বলতে চেয়েছি তাও বলতে দিচ্ছে না। মেয়েটা এমন কেন করছে আর পারছিনা। আমার ফোন নাম্বার পর্যন্ত দিয়েছি তবুও কোন খবর নাই। সেল ফোনটা বুকে নিয়ে ঘুমাই যদি সে ফোন দেয়। কিযে দুশ্চিন্তায় আছি ফোন বাজলেই অন্তরে ব্যাথা অনুভব করি। উত্তেজিত হয়ে মোবাইলটা দেখি, না অন্য কেউ। কি যে কষ্ট এই অপেক্ষায় সময় পার করেছি তা আমি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।
রোজার মাস, শুধু আল্লাহ্কে বললাম আমি এই মেয়েটাকেই চাই তুমি আমার করে দিবে। আমি আর কিছু জানি না। কিভাবে দিবে তা আল্লাহ্তোমার ব্যাপার এবং মনটা নরম করে দিও যাতে সে আমার মত করে আসে আর আমার ইচ্ছে মত চলে। একটা ভয়, মেয়েটা ইতালিতে আছে আমার থেকে বেশি দিন আগে পরিবারের সাথে সুতরাং আমার সব কথা হয়তো সে মেনে নিবে না ।তবুও ভাবি যত কঠিনই হোক না কেন তাকে ভালোবাসায় তৈরি করে নিবো ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার ইচ্ছে মত।
দেখতে দেখতে দিন চলে যাচ্ছে কোন ফোনও আসে না হঠাৎ করে আমার জন্মদিনে সে ফোন দেয় ওহ! কিযে শান্তি তা বলে বা লিখে বুঝাতে পারবো না।
অদ্ভুত এক অনুভূতি দুনিয়াটা বাস্তব হয়ে উঠলো। হৃদয়ে নতুন এক অনুভূতির সঞ্চার হল। কি শান্তি এই প্রথম জন্মদিনের দিন মনে হয় কিছু পেলাম। এর জন্যই মনে হয় সারা জীবন অপেক্ষায় ছিলাম। ধন্যবাদ ফেসবুক।
আমার জীবনে ভালোবাসা দিবস কখনও আমি করতে পারিনি না দেশে না বিদেশে।
তবে ভালোবাসা দিবসে আমরাও করতে পারি একদিন সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্দরভাবে । আশাকরি এবারের ভালোবাসা দিবসে বয়ে আনবে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের বন্ধন আমাদের দেশে। সবার প্রতি লাল গোলাপ ভালোবাসার শুভেচ্ছা রইল।
লেখক: ইতালি প্রবাসী
Post A Comment:
0 comments: