নাঈম হাসান পাভেল,কোপেনহেগেন,ডেনমার্ক
থেকে : স্মরণকালের ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার একটি বাংলাদেশে
ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ। আজ ২৫শে মার্চ"জাতীয় গণহত্যা দিবস" এ সকল
শহীদ এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড্যানিশ পার্লামেন্টের সামনে মোমবাতি প্রজ্জলন
করেছে ডেনমার্ক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী
হায়নারা সারা দেশ ব্যাপী নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও পুলিশের উপর ঝাপিয়ে পড়ে
নৃশংসভাবে হত্যা যজ্ঞ চালায়। এই দিবসটিকে "গণহত্যা দিবস" হিসেবে
আন্তর্জাতিকভাবে ভাবে স্বীকৃতির দাবিতে ড্যানিশ পার্লামেন্ট এর সচিব এর নিকট
স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রতিনিধি দল। মোমবাতি প্রজ্জলন শেষে বক্তারা বলেন,
২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত প্রকৃতার্থে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার
স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে
বিবেচিত হবে। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিল। এর আওতায় অনেকের বিচার
সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে
যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি এবং বিচারকাজ বন্ধ করে দেন। শুধু তা-ই নয়, চিহ্নিত
যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ এর লক্ষে ডেনমার্ক প্রবাসী
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ এর
সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠু, সাধারণ সম্পাদক ড.বিদ্যুৎ বড়ুয়া,
জাহাঙ্গীর আলম, ডেনমার্ক যুবলীগ এর
সভাপতি জামিল আখতার কামরুল, সাধারণ সম্পাদক আমির জীবন,
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া,
ডেনমার্ক ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখার সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, ডেনমার্ক
আওয়ামী লীগের হিল্লোল বড়ুয়া, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবদুল আল জাহিদ, শোয়েব আহমেদ, রিয়াদ হোসেন, ফয়সাল হোসেন, জামশেদ রহমান, ইমরান হোসেন, সুবীর, শাওন, কোহিনূর,
মুকুল, সাগর, তানভীর
শুভ, সুকান্ত দে, আসিফ মুস্তারিন,
সুমন বিশ্বাস সহ ডেনমার্কের সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments: