সুফিয়ান
আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ পূর্ব বিরোধের জেরে আবারো
বিয়ানীবাজার পৌরশহরে সংঘর্ষে জড়ালো উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান স্বাধীন ও পল্লব
গ্রুপ। হামলা পাল্টা হামলায় উভয় গ্রুপের ৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায়
রমজান (২৭) নামক পল্লব গ্রুপের সিনিয়র এক নেতাকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় উভয়
গ্রুপের ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় থমথমে
পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, গহ
বৃহস্পতিবারের মারামারির জের ধরে সোমবার বেলা দু’টায়
পৌরশহরের কলেজ রোডে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উপজেলা ছাত্রলীগের বিবদমান স্বাধীন
গ্রুপ ও পল্লব গ্রুপ । আধা ঘন্টাব্যাপী উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল
নিক্ষেপ উভয় গ্রুপের ৩ জন আহত হন। এসময় পৌরশহরসহ আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দিগ¦ীদিগ ছুটোছুটি করতে থাকেন পথচারীরা। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাঠ। সংঘর্ষের খবর পেয়ে
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় গ্রুপের
নাঈম, হাবিব ও ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে এ
সংঘর্ষের পর পৌরশহরের সমবায় মার্কেটস্থ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও স্বাধীন গ্রুপের
পৃষ্টপোষক আব্দুল কুদ্দুস টিটুর কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় পল্লব গ্রুপের
নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে স্বাধীন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সমবায় মার্কেটে আসতে চাইলে
তাদের বাধা দেয় থানা পুলিশ। এর আগেই চলে যায় পল্লব গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, এই
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উভয় গ্রুপ নিজেদের মধ্যে শক্তিসঞ্চয়
করতে থাকে। বিকেলে স্বাধীন গ্রুপের আদনান (২২) নামক এক কর্মীকে একা পেয়ে কুপিয়ে
জখম করে পল্লব গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। তাকে আহত অবস্থায় বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টায় পল্লব গ্রুপের সিনিয়র নেতা রমজানকে
পৌরশহরের ইনার কলেজ রোডে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায় স্বাধীন গ্রুপের কয়েকজন
কর্মী। আকস্মিক হামলায় নিকটস্থ একটি দোকানে গিয়ে প্রাণ বাঁচালেও গুরুত্বর অবস্থায়
তাকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।
আর
এঘটনার পর থেকে পৌরশহরে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে
আশপাশ এলাকায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ
মোতায়েন রয়েছে বলে জানান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, গত
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের স্বাধীন গ্রুপের কয়েকজন কর্মী পল্লব গ্রুপের সিনিয়র
নেতা জাফর আহমদের উপর বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে হামলার চেষ্টা চালায়।
এসময় জাফরের গ্রুপের কর্মীরা তাকে রক্ষা করলেও পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। আর
এরই জের ধরে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Post A Comment:
0 comments: