মোঃ কামরুজ্জামান, ফ্রান্স :
আন্তর্জাতিক
বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নীতিমালার বাধ্যবাধকতায় ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশ সরকার কম্পিউটার বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট-এমআরপি) চালু করেছে।
বাংলাদেশের এমআরপি পাসপোর্ট চালু হওয়ার আগের
হাতে লেখা পাসপোর্টে
গুলিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ বাংলা, ইংরেজি
এবং ফ্রেঞ্চ
তিনটি ভাষায় লিখা ছিল কিন্তু বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্টে ফরাসী ভাষা
বা ফ্রেঞ্চ
ভার্সনটি তুলে
দেওয়া হয়েছে। তবে কি কারনে এই ফ্রেঞ্চ ভার্সন তুলে দেওয়া হয়েছে এর কোন কারণ জানা না গেলেও, ফ্রান্স
প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ভার্সন তুলে দেওয়ায় ফ্রান্সে ইতিমধ্যে প্রবাসী অনেক বাংলাদেশী প্রশাসনিক কাজে সমস্যা পড়তেছেন। বিশেষ করে স্টুডেন্টসরা এবং যাহারা ফ্রান্সে
স্থায়ী বা সাময়িক বসবাসের জন্য ফ্রান্সের বিভিন্ন আইনের আওতায় আবেদন করেছেন। জানা গেছে,
এমআরপি
পাসপোর্টে ফ্রেঞ্চ ভার্সন না থাকায় সটুডেন্টসরা রেসিডেন্ট কার্ড এর
জন্য ফ্রান্সের
ইমিগ্রেশন
ডিপার্টমেন্ট বরাবর আবেদন করলে ফরাসী কতৃপক্ষ ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে এবং পাসপোর্টের ফটোকপি
ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুবাদ করে জমা দিতে বলা হচ্ছে।অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে যাহারা প্রথম ফ্রান্সে
স্টুডেন্টস ভিসা নিয়ে লেখাপড়া করতে আসে তাদের পক্ষে প্যারিস বাদে ফ্রান্সের অন্য শহরে
অনুবাদক খুঁজে পাওয়াটাও একটু দুষ্কর।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পেইজ বিসিএফ এর
মাধ্যমে বিষয়টি কমিউনিটির নজরে এলে অনেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সরকারের
কাছে পূর্বের মত পাসপোর্টে ফ্রেঞ্চ ভার্সন সংযুক্ত করার অনুরোধ করেন।
অপরদিকে,উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্স,
ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও বেলজিয়াম সহ বিশ্বের প্রায় ৫৪টি দেশে ফরাসী ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং ২৯টি দেশের সরকারী ভাষা হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ভাষা ।
তাই প্রবাসীদের কল্যাণের
স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার আগের মত বাংলা ও ইংরেজি তথ্যের সাথে ফ্রেঞ্চ ভার্সন যোগ করবে এই প্রত্যাশা
ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের।
Post A Comment:
0 comments: