বাহার উদ্দিন বকুল, জেদ্দা, সৌদি আরব : সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আনন্দঘন পরিবেশে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে প্রবাসীরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে মহান বিজয় দিবস পালনে দারুণ উৎসাহিত হয়। তাই মানুষের ঢল নামে কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে।
৪৫তম বিজয় দিবসের সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সরসূচনা করেন কনসাল জেনালেন এ.কে.এম শহীদুল করিম। ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় সঙ্গীতের সুরমূর্চ্ছ্বনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন কালে কনস্যুলেট কর্মকর্তা বৃন্দ সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
অতঃপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সিলর হজ্জ মাকসুদুর রহমান, কাউন্সিলর শ্রম মোঃ আমিনুল ইসলাম,কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন, এবং কনসাল জহিরুল ইসলাম। সেই সাথে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা সহ দেশের উন্নতি-অগ্রগাতি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করাহয়।
কাউন্সিলর আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তৃব্য রাখেন বীর মুক্তি যোদ্ধাগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহীদুল করিম সমাপনী বক্তৃতায় স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধানিবেদন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষরদের বর্বরতা ও পৈশাচিকতার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। শহীদুল করিম আরো বলেন, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রীর কর্মপরিকল্পনায় দেশ আজ নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে যা একটি বড় অর্জন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমজীবি সকলের প্রতি সরকার সংবেদন শীল।প্রবাসী গণকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি দেশের ভাব মুর্তি উজ্জ্বল রাখার আহ্বান জানান।
অতঃপর কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতীয় স্মৃতি সৌধ রেপ্লিকায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদান কারী শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। প্রথমে জেদ্দা কনস্যুলেটের পক্ষথেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহীদুল করিম এবং কনসাল বৃন্দসহ কনস্যুলেট কর্মকর্তা গণ।
অতঃপর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, জেদ্দা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ উৎসাহ উদ্দীপনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ দিকে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা মাধ্যম ও ইংলিশ মাধ্যমে আলাদাভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পূর্বক অর্ধনমিত করণ,পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।অংশগ্রহণ করেন, পরিচালনা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী নেয়ামুল বশির এবং সদস্য বৃন্দ,অধ্যক্ষ ড. আবদুল বাকি এবং সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রীরা।
বাংলা মাধ্যম স্কুলে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পূর্বক অর্ধনমিত করণ,পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করেন, পরিচালনা পরিষদ চেয়ারম্যান মার্শেল কবির পান্নু এবং সদস্য বৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামদুর রহমান এবং সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রীরা।
সম্মানিত অতিতি গণের মধ্যে ছিলেন, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহিদুল করিম, কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন,কাউন্সিলর আজিজুর রহমান, কনসাল মোহাম্মদ রেজাই রাব্বি সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অভিবাবক বৃন্দ। বিকেলে উভয় স্কুল প্রাঙ্গনে আলাদা আলদা ভাবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সাংস্কৃতিকপর্বে উপভোগ্য ছিলো মহান বিজয় দিবসের উপর নির্মিত ল্যাজারশো।এছাড়াও উভয় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা পরিবেশন করে কবিতা আবৃতি, একক গান, নৃত্য, দলীয় সঙ্গিত।
Post A Comment:
0 comments: