সুফিয়ান আহমদ, বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় ফাহিম আহমদ (৮) নামের এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের মুক্তা মিয়ারর কলোনী থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তবে এই ঘটনায় কোন মামলা দায়ের না হলেও একই কলোনীর বাসিন্দা আল আমিন ও নিহতের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের মুক্তা মিয়ার কলোনীতে নেত্রকোনার বাসিন্দা দিনমজুর নুরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর স্ত্রীও অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় নুরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন বেগম কাজের জন্য বের হয়ে হয়ে যান। কিন্তু ঘরে তাকে তাদের সন্তান ফাহিম। তারা চলে যাওয়ার পর রহস্যজনকভাবে ফাহিমের মৃত্যু ঘটে। এদিন সকাল আনুমানিক ১১টার সময় কলোনীর জেনারেটর রুমে ফাহিমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন কলোনীর অন্যান্য বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে শিশু ফাহিমের রহস্যজনক এ মৃত্যুর কারণ কেউ বলতে না পারলেও নিহতের বাবা ও একই কলোনীর বাসিন্দা আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও এঘটনায় কোন মামলা হয় নি।

এবিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এবিএম বদরুজ্জামান বলেন, একটা অবুঝ শিশু কখনো এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা শিশুটিকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে শিশুর বাবা ও আল আমিন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: