সুফিয়ান আহমদ, বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : মাইক্রোতে বরযাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র  করে বিয়ানীবাজারের পৌরশহরে  শ্রমিক ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিয়ানীবাজার থানার ওসিসহ অন্তত: ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

বুধবার বিকেলে পৌরশহরের আলীশা কমিউনিটি সেন্টার ও  উত্তরবাজারে সংগঠিত এ সংঘর্ষে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। এসময় বন্ধ হয়ে যায় সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের যান চলাচল। যার ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাঠ। বুধবার বিকেলে সংঘর্ষের এঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পৌরশহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোন সময় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের আলিশা কমিউনিটি সেন্টারে পৌরশহরের  শ্রীধরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত বাবু মিয়ার মেয়ের বিয়ে অনুষ্টানের দিনক্ষণ ছিলো আজ বুধবার। এউপলক্ষে বরযাত্রীরা  নির্ধারিত সেন্টারে এসে  প্রীতিভোজ শেষে বাড়ি ফিরতে চান। এ সময় একটি মাইক্রোতে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে বড়লেখা উপজেলার সুড়িকান্দি গ্রামের বরের পিতা আব্দুল মতিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় চালক বাবুল আহমদের। তাদের উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে বরের পিতাকে মারধর করে চালক বাবুল। এসময় বর ও কনে পক্ষের কিছু লোকজন তাদের নিবৃত্ত করলেও বাবুল পৌরশহরের উত্তরবাজারে এসে তাকে মারধর করা হয়েছে মর্মে তাঁর সহকর্মী চালকদের অবহিত করলে তাদের অনেকেই বাবুলের সাথে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেন্টারে যান। সেন্টারে গিয়েই তারা অতর্কিত হামলা করে সেন্টারে অবস্থানরত লোকজনের উপর। এসময় শ্রীধরা গ্রামের মুরুব্বী হাফিজ শামসুল হক (৫৬), আমান উদ্দিন (৪০), চেরাগ আলী (৪২) ও শাকিল (২০) গুরুত্বর আহত হন। বিয়ের আনুষ্টানিকতার শেষ পর্যায়ে চালকদের হামলায় গ্রামের মুরুব্বীসহ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর শ্রীধরা গ্রামে জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক গ্রামের মসজিদের মাইকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরই গ্রামের লোকজন সেন্টারে যেতে উদ্যত হলে খবর পেয়ে হামলাকারীরা বাজারে চলে যায়। এরপর গ্রামবাসী পৌরশহরের উত্তরবাজারে পৌছামাত্র তাদের উপর ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায় পরিবহণ শ্রমিকরা। শুরু হয় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। এসময় পুলিশ লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এতে আহত হন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, আজিম (৩৫), সাইবুল (২৩), ফরহাদ (৩৪)সহ অন্তত: আরো ১২ জন । আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পারতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পৌরশহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এবিএম বদরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: