রনি মোহাম্মদ (লিসবন,পর্তুগাল): পর্তুগালের
জাতীয় পার্লামেন্টের সামনে অভিবাসন আইন পরিবর্তন না করার দাবি এবং বৈধতা চেয়ে 'সলিডারিটি
ফর ইমিগ্রান্ট’ এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ
ও মানব বন্দন।
‘প্ল্যাটফর্ম ফর ইমিগ্রেশন এন্ড
সিটিজেনশিপ’ এর ব্যানারে ফাইয়াসকে-কালিকুইসে সেক্টর গিনি
বিসাউয়ের এসোসিয়েশন ফেডারেশন, ওয়াচ লাইভ-পরিবেশ সুরক্ষা, হেরিটেজ অ্যান্ড হিউম্যান
রাইটস এসোসিয়েশন,
গিরাসোল সলিডারি- রোগীদের জন্য সমর্থন এসোসিয়েশন বায়ুশূন্য কাপু
ভার্দে, আফ্রোলিস-সাংস্কৃতিক এসোসিয়েশন, ম্যান্ডেলা রিগ্গী পরিবার-সাংস্কৃতিক এসোসিয়েশন,
পর্তুগাল নেপালী বাসিন্দাদের এসোসিয়েশন,
অদা- এঙ্গলান্স ডিফেন্স এসোসিয়েশন, ব্রাজিল
হাউস লিসবন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন ইপিবি পর্তুগাল, বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক
সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন দেশের হাজারো অবিভাসীদের অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে পর্তুগিজ
পার্লামেন্ট সাও বেন্তো প্যালেস'র সামনে শান্তিপূর্ণ এক মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন
অভিবাসীরা।
পার্লামেন্টে শুরু হওয়া ইমিগ্রেশন বিষয়ে এবং অভিবাসন আইনের
পরিবর্তন বিষয়ে এক বিতর্ক চলাকালে অভিবাসী প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া
বাংলাদেশী নাগরিক আমির হোসেন এবং জুয়েল বলেন সেই সাথে তাদের স্বরে ছিলো কিছুটা বিষণ্ণতা
সঙ্গে বলছেন আমারা এখানে এক জন সাধারন কর্মীর মতই কাজ করছি, এখনে বসবাসের জন্য সকল
বাধ্যবাধকতা যা পর্তুগীজ (সেফ) রাষ্ট্র প্রয়োজনে পূরণ করছি, তার পরও পরিস্থিতির রেজোলিউশনের
হঠাৎ পরিবর্তন বুঝতে পারছি না।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে 'সলিডারিটি ইমিগ্র্যান্টস' এর সভাপতি
তিমোতেও মাচেদো বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে আমরা সরবো না। অভিবাসীদের
বিভিন্ন মানবিক দাবি নিয়ে আমরা আজ পার্লামেন্টের সামনে দাঁড়িয়েছি। আজকের এই কর্মসূচির
আমাদের দাবি আদায়ের পথ দেখাবে। তবে আজকের বিক্ষোভ আমাদের দাবির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ।
তিনি আরো বলেন, অভিবাসীবান্ধব আইনের আর্টিক্যাল ৮৮ বহাল
রাখার না হলে বৈধতার জন্য অপেক্ষমানরা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে পর্তুগালে বসবাসরতরাও অভিবাসীরাও
সমস্যায় পড়বেন। তাই আগামী ১৩ নভেম্বর মাতৃম মনিস (বাংলাদেশী পাড়া বলে খ্যাত) আরেকটি
বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ছি
না।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৮৮ বহাল থাকবে কি না –এ নিয়ে ২৭শে অক্টোবর শুরু হওয়া পার্লামেন্টে বিতর্ক চলছে।
তাই অভিবাসীবান্ধব এই ধারা বহাল রাখার দাবিতেই বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি বর্তমানে পর্তুগালে বসবাস করলেও
এদের বিরাট একটি অংশ এখনও বৈধতা পাননি। নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েও সাম্প্রতিক সময়ে রেসিডেন্ট
কার্ড পেতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ
হয়ে পড়া বাংলাদেশীদের শেষ ঠিকানা পর্তুগালকেই বেঁচে নিয়েছিল।
এ সময় প্রবাসীরা পর্তুগালের পার্লামেন্টের সামনে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পর্তুগালে সমান নাগরিক অভিবাসী,দাসত্বের
বিরুদ্ধে ইমিগ্রান্টস,বিতাড়ন সমাধান নয়, একটি ভিসা,সমান কাজ, সমান বেতন 'সব জন্য ডকুমেন্টস"
ইত্যাদি লেখা সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড
ছাড়াও পর্তুগাল এর পতাকা যা ইঙ্গিত করে এই দেশকে ভালোবাসি এ নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
Post A Comment:
0 comments: