সুফিয়ান
আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তি নয়াগ্রাম
এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এক মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তিকে আটকের পর বিয়ানীবাজারে
অবস্থিত বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শুক্রবার বিকেলে উভয়
দেশের সীমন্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা স্বাপেক্ষে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন
হয়। আটক মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফাতেহাবাদ গ্রামের
বিমল চন্দ্র মজুমদারের পুত্র রিপন চন্দ্র মজুমদার। পরে বিজিবি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের মাধ্যমে ধৃত
ব্যক্তিকে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।
বিজিবি
সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নয়াগ্রাম এলাকা
দিয়ে রিপন চন্দ্র মজুমদার শুক্রবার সকালে ভারতে প্রেেবশের চেষ্টা করে। এসময় ১৩৩ বিএসএফ
লাতু ক্যাম্পের টহল দল তাকে আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নকে জানায়
বিএসএফ। এসময় বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ নেয়ামুল কবির আটক ব্যক্তিকে
বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফ,র সাথে
আলোচনা করলে তাঁরা আটক ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়। একই দিন বিকেল ৪টার দিকে নয়াগ্রাম ক্যাম্পে
বিজিবি’র কাছে আটক ব্যক্তিকে হস্তান্তর করে বিএসএফ। হস্তান্তর
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আটক রিপনকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি এবং থানার মাধ্যমে তাঁর বাড়িতে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে
রিপনের ছোট ভাই রুবেল মজুমদার বিয়ানীবাজার থানায় এসে তাঁর ভাইকে চিহ্নিত করে। এরপর
সকাল সাড়ে ১১ টায় বিয়ানীবাজার থানা কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজ পরিবারের
হাতে তুলে দেয় রিপন মজুমদারকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন,বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
চন্দন কুমার চক্রবর্তী,বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার হারুন অর রশিদ,হাবিলদার
মোস্তাফিজুর রহমান,নায়েক রুহুল আমিন ও জিতেন্দ্র, ল্যান্স নায়েক জাকির হোসেন প্রমুখ।
এব্যাপারে
উদ্ধার হওয়া রিপন চন্দ্র মজুমদারের ভাই রুবেল চন্দ্র মজুমদার জানান, আমার ভাই রিপন
মানসিক বিকারগ্রস্ত। ব্রেনের সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারপর
কিছু দিন গেলে তিনি আবার ফিরে আসেন। কিন্তু গত ১মাস পূর্বে তিনি বাড়ি থেকে বের হলে
তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে আমরা তাঁর আশা ছেড়ে দেই। অবশেষে সিলেটের বিয়ানীবাজার
থানা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার ভাইকে থানায় আটক করা হয়েছে মর্মে আমাদেরকে জানানো
হলে আমি আমার ভাইকে নিতে এসেছি।
Post A Comment:
0 comments: