অনলাইন : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে
আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের
রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে।
আজ রোববার এ মামলার রায় ঘোষণার
জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায়ের আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় বাংলাদেশ সাইবার
ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী দিন ধার্য
করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট আসামিদের
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
কিন্তু ওই দিনও রায়ের আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেছিল
আদালত।
এ মামলায় ২৫ জনের মধ্যে ২১
জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার আসামিরা হলেন, সালাউদ্দিন
কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম
কাদের চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ
কে এম ফখরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের
অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ, অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী,
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান ও
ম্যানেজার এ কে এম মাহাবুবুল আহসান।
আসামিদের মধ্যে ব্যারিস্টার এ
কে এম ফখরুল ইসলাম,
মাহবুবুল আহসান, ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলী
কারাগার রয়েছেন।
গত ৪ আগস্ট জামিন বাতিল করে
তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে সালাউদ্দিন কাদের
চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর বয়স বিবেচনায় তার জামিন বহাল রাখেন
ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী গত ৪ আগস্ট আদালতে আসার সময় ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে বলে তার আইনজীবী দাবি করায় তার জামিনও বহাল রাখা হয়।
এ ছাড়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী গত ৪ আগস্ট আদালতে আসার সময় ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে বলে তার আইনজীবী দাবি করায় তার জামিনও বহাল রাখা হয়।
তবে রায় ঘোষণার দিন তাকে
আদালতে হাজির করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি মেহেদী হাসান
পলাতক রয়েছেন।
এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে
দায়ের হওয়া ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো.
শাহজাহান।
রায় ফাঁসের ঘটনায় আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দেন। ওই জবানবন্দিতে ব্যারিস্টার ফখরুল ও ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক
আহমেদ জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
Post A Comment:
0 comments: