রনি মোহাম্মদ,(লিসবন,পর্তুগাল) : পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে
সলিডারিটি ফর ইমিগ্রান্টের ব্যানরে অনুষ্টিত হয়ে গেল এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও
মানব বন্দন।
সলিডারিটি ফর ইমিগ্রান্টের ও প্ল্যাটফর্ম ফর ইমিগ্রেশন এন্ড
সিটিজেনশিপ এর ব্যানারে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন,
ব্রাজিল, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া,
এ্যাঙ্গোলা, কাপে ভের্দে, গিনিবিসাও, ইউক্রেন, বেলারুশ
সহ বিভিন্ন দেশের হাজারো অবিভাসীদের ও পর্তুগালের বিভিন্ন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা
সংগঠনের অংশগ্রহন মধ্যদিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি
বছরের মার্চ'১৬ এর সেফ পর্তুগাল কর্তৃক জারিকৃত অভিবাস
অইনের ধারা ৮৮ এর কিছু পরিবর্তন করা হয়। যার ফলে অভিবাসন প্রত্যাশিত দের
স্বর্গরাজ্য বলে ক্ষেত পর্তুগালের দুয়ার ও প্রায় অনেকটা সংকোছিতো হয়ে পড়ে।
অবিভাসন আইন সহজি করন, কান্ট্রি আউট নামক বহিস্কার করন আইন
শীতলের দাবী, পর্তুগাল বাম ব্লক ডেপুটি সান্দ্রা কুনহা
"নীতি ও বৈধকরণ প্রক্রিয়া শক্ত" প্রতিবাদে সলিডারিটি ফর ইমিগ্রান্টের
উদ্দেগ্যে প্রবাসীদের এ প্রতিবাদ র্যালি ও দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে উল্লেখযোগ্য
সংখ্যক পর্তুগীজ নাগরিকদের অংশ গ্রহণ ও সহমর্মিতা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
র্যালিতে অংশ নেয়া বাংলাদেশী
নাগরিক এনামুল হক জানান,
হঠাৎ করে পর্তুগীজ লিগ্যালাইজেশান অফিস রেসিডেন্ট কার্ড প্রদান ও
টেক্স পেয়ার নাম্বার বন্ধ করে দেয়াতে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশীদের ও নানা
হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে। চীনা নাগরিক ইয়াংজু আক্ষেপ করে বলেন ছয় বছর ধরে
তিনি এখানে বসবাস করে আসছেন কিন্তু তাকে এখন ও অবৈধের তকমা নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
লুক্সেমবার্গের জেসিকা লোপেজে সলিডারিটি ফর ইমিগ্রান্ট লিসেবনে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ
করছেন অভিবাসন নিয়ে, তিনি বলেন মার্চ'১৬ থেকে ইমিগ্রান্ট দের সাথে যে সেফের যে আচরণ করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে
একত্ততা ঘোষণা করেন এবং পর্তুগীজ নাগরিকদের মাঝে ইমিগ্রান্টদের সম অধিকার আদায়ের
লক্ষ্যে অধিকার আদায়ের তাঁরা কাজ করে যাবে।
এই সময় প্রবাসীরা পর্তুগালের
রাজধানী লিসবনের মাতৃমনিজ পার্ক থেকে বিভিন্নো স্লোগান এবং ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড
লিখিত "পর্তুগালে সমান নাগরিক অভিবাসী" "দাসত্বের বিরুদ্ধে
ইমিগ্রান্টস",
"কোন এক অবৈধ, বাসভবন এবং জাতীয়তা
হয়" ''বিতাড়ন সমাধান নয়'' "একটি ভিসা''সমান কাজ,সমান
বেতন''প্রদর্শন করে,প্রতিবাদ র্যালি
শুরু করে প্রাসাদা কমার্চিয়াতে স্কয়ার গিয়ে শেষ হয়।
Post A Comment:
0 comments: