এম মাহবুব আলম : আজ ৪ বৎসর হল সিলেটের কোটি জনতার প্রান প্রিয় জননেতা এম
ইলিয়াস আলী নিঁখোজ অবস্থায় রয়েছেন।
সারা বাংলদেশের সর্বস্থরের জাতীয়তাবাদের নেতাকর্মীদের
মাঝে স্থান করে নেওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর
সর্বশেষ অবস্থান আজও প্রসাশনসহ কোনো স্থরই কোন হদিশ দিতে পারে নাই। সেই ২০১২ সালের
১৭ই এপ্রিল থেকে যখন সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঠিক সেই সময় বিএনপির এই
প্রভাবশালী নেতার নিজ জন্ম স্থান বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির
পক্ষ থেকেই প্রতিবাদ মিছিল, সভা সমাবেশ, রাজপথ অবরোধ, অনশন সহ দোয়া মাহফিল এর আয়োজন
অবিরাম চলছে। কিন্তু উপজেলার বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত বৃহত্ত রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপি।
প্রিয় নেতা নিঁখোজের কিছু দিন আগে আলতাবুর রহমান কে আহ্বায়ক আর আনিসুজ্জামান খান
কে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘঠন করে দেন। উন্নয়নের রুপকার
এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর এই কমিটির উদ্দ্যোগে কয়েকটি মিটিং ও দোয়ার আয়োজন করা
হলেও আর কমিটির নেতৃবৃন্দকে উপজেলার প্রতিটি প্রাগ্রামে দেখা গেলেও কয়েক দিন পরে পাল্টে
যায় এই চিত্র। সাবেক সাংসদ ইলিয়াস আলীর আস্তাবাজন এই ইউনিয়ন বিএনপি পরিবর্তিতে দলের
এবং দলের বাহিরে থাকা নামধারী বিএনপি নামক থাকা কিছু সংখ্যক দালাল চাটুকার দের কুচক্রের
মধ্য পরে যায় ইউনিয়নটি। আর প্রিয় নেতার নিঁখোজের পর দলের হাল ধরা ইলিয়াস পন্তী
তাহসিনা রুশদীর লুনা ম্যাডাম কে ভূল তথ্য আর মিস গাইড দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে
অযোগ্য কর্মীদের উচ্চ পদে পদস্থল করে একটি কমিটি ঘোষনা করে এরপর থেকে আজও সেই কমিটির
উদ্দ্যোগে বা পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ এমনকি একটি দোয়া মাহফিলেও আয়োজন করা সম্ভব হয়
নাই। অথচ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবদুস সাত্তার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের
সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ ইউনিয়নের সহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন
সময় বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করে আসছে তারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই এই বাকশাল সরকারের
সাজানো মামলায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানিতে শিকার হচ্ছে। প্রায় এক বৎসর আগে ইউনিয়ন বিএনপির
নতুন কমিটি হল। আসা করেছিলাম এই কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপি একটু শক্তিশালী হবে।
কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা ছাড়া কোন এক্টিব কর্মীরা কমিটিতে দায়িত্ব পায়নি। এমনও
দায়িত্বশীল নেতা আছেন যিনি কমিটি হওয়া পরে গ্রামে ও বসবাস করেননি, বসন্তের কুকিলের
মত কমিটি গঠনের সময় এলাকার তথা উপজেলার (কুচক্র মহলের) নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে নেতা
হয়ে গেলেন। আর রাতের বেলা আওয়ামীলীগ দিনের বেলা বিএনপি এই ভাবে চলতে থাকেন। বিগত
দিনে যে সকল কমিটি ছিল প্রত্যেকটি কমিটির দায়িত্বশীল ও নেতা কর্মীরা এক যোগে কাজ করতেন।
কারন সেই সময় একিসুতায় বাঁধা ছিল প্রতিটি নেতা কর্মী আর সেই সময় রামপাশা ইউনিয়ন
বিএনপি পরিবারের অভিবাবকের মত দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক
সিনিয়র সহ-সভাপতি মরহুম আবদুল খালিক মাস্টার। বিশ্বনাথের প্রতিটি এলাকায় নিজ কর্মের
মাধ্যমে প্রতিটি নেতাকর্মীর মুখে ছিলেন সুনামধন্য আর গ্রহন ব্যক্তি। এম ইলিয়াস আলীর
খুব কাছের মানুষ ছিলেন মরহুম আবদুল খালিক মাস্টার রামপাশা ইউনিয়নে প্রায় প্রতিটি
ঘরে ঘরে বিএনপির কর্মী তৈরী করেছিলেন। সেই সময়ে ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ডের প্রতিটি
বিএনপির কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগনিঠক কারা ছিলেন প্রতিটা নেতা কর্মী জানত।
কিন্তু এখন কোন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কে প্রায় নেতা কর্মী জানে না। নতুন কমিটির কোন
পরিচিতি সভা ও করা হইনি। গত দুই মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হল, কিছু চাটুকাদের
কারণে বিএনপির নেতা কর্মী কে ধানের শীষ প্রতিক না দিয়ে অন্য দল সমর্থন করেন এমন একজন
কে বিএনপির প্রতিক দিয়ে প্রার্থী দেওয়া হয়, যার জন্য বিএনপির ভরাডুবী হল নির্বাচনে
যেই সকল নেতাদের কারনে ইউপি নির্বাচনে ভরাডুবী হল সেই নেতারা বিএনপির নেতৃত্ব দিতে
এখন উঠে পরে লেগেছে। বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত, সঠিক
নেতৃত্ব না থাকার কারণে কর্মীরা কাজ করতে পারছে না, কর্মীরা কোন অভিবাবক খোজে পাচ্ছে
না, পাচ্ছে না প্রিয় নেতার সন্ধান! দেশ ও দলের এই ক্রান্তিকালে দলের হারধরা এম ইলিয়াস
আলী সাহেবের সহধর্মিনী তাহসিনা রুশর্দীর লুনা ভাবীর কাছে অনুরোধ করিতেছি দয়া করে রামপাশা
ইউনিয়ন বিএনপির মত গুরুত্বপূর্ণ এই পরিবারটি কে চাটুকাদের হাত থেকে রক্ষা করে সঠিক
নেতাদের কে দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি কে পূনরায় শক্তিশালী করুন.................. (চলবে)।
লেখক পরিচিতি : এম মাহবুব আলম (যুক্তরাজ্য প্রবাসী)
সাবেক আহবায়ক রামপাশা ইউনিয়ন যুবদল। সাবেক সভাপতি রামপাশা ইউনিয়ন ছাত্রদল।
Post A Comment:
0 comments: