অনলাইন
ডেস্ক : দেশে যখন
জাসকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে ঝড় উঠেছে ঠিক তখন দলটির অবস্থান
পরিস্কার করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেছেন, ‘১৪ দলের মূল নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৪ দলের ঐক্যের প্রতীক।
তাঁর অনুপ্রেরণায় ১৪ দল গঠিত হয়েছে। ১৪ দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আদর্শিক জোট। শুধু
ক্ষমতা ভাগাভাগি, নির্বাচনের জন্য নয়—আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে এই ১৪ দল গঠিত হয়েছে। ১৪ দল আছে, থাকবে। যত দিন আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হয়,
তত দিন থাকবে।’
নাসিম বলেন, ‘১৪ দল আরও সম্প্রসারিত হবে, ঐক্যও সম্প্রসারিত হবে। এর কোনো
বিকল্প নেই। তা না হলে অশুভ শক্তি অনৈক্যের ফাটল দিয়ে ঢুকে আমাদের ছুরিকাহত করবে।’
আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর
ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় নাসিম এসব কথা বলেন। ১৯ জুন বেলা তিনটা থেকে বিকেল
পাঁচটা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে এই যৌথ সভা করা হয়।
তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে
এগিয়ে নিয়ে যান। প্রয়োজনে ১৪ দল আরও সম্প্রসারিত হবে, ঐক্যও সম্প্রসারিত হবে। এর কোনো
বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে ওই অশুভ শক্তি অনৈক্যের ফাটল দিয়ে
ঢুকে আমাদের ছুরিকাহত করবে। ৭৫ সালের ভুলে গেলে চলবে না। এটা মনে রেখে আমাদের কাজ করতে
হবে।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল
আলম হানিফ ছাত্রলীগের কর্মশালায় সৈয়দ আশরাফের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে বলেন,ছাত্রলীগের
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞানদান করার জন্য নানা কর্মশালা করা হয়। হয়তো
সেই প্রেক্ষাপটে অতীতের একটি ইতিহাস সম্পর্কে সৈয়দ আশরাফ সাহেব একটা কথা বলেছেন।
কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমাদের ১৪ দলের মধ্যে কোনো অনৈক্য
সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সব অতীতকে জেনেই ঐক্য করেছি। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই,
১৪ দলের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি নেই। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে, ঐক্যবদ্ধভাবেই শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে দেশকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদমুক্ত করার জন্য ভূমিকা রাখবে।এই বক্তব্য নিয়ে
কারওর উসকানিতে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম
মুরাদের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক সাদেক খান, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
Post A Comment:
0 comments: