অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে চেয়ার, পনির বা
ডেজার্ট নেই বলে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শেফ নাদিয়া হুসেইন।
বিবিসি রান্না প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া এই নারী শেফ 'বাংলাদেশের
সংস্কৃতিকে জানে না' বলে অভিযোগ করেছে তার ভক্তরা।
ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে
জানায়, সে হয়ত বর্তমানে ব্রিটেনের জাতীয় সম্পদ। কিন্তু নিজ দেশ (বাংলাদেশ) ও
সমাজে সে এখন জনপ্রিয় নয়। দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ বিজয়ী নাদিয়া সম্প্রতি
সাক্ষাৎকার দেয় দ্য গার্ডিয়ানকে। আর সেখান থেকেই এ বিতর্কের শুরু। তিনি
গার্ডিয়ানকে বলেন, 'বাংলাদেশে যখন আমার পরিবার ছিল,
তখন চেয়ারের ব্যবহার ছিল না। আমার বাবাও এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে
চেয়েছিলেন। সে কারণেই আমাদের কখনও ডাইনিং টেবিল ছিল না।
নাদিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশের
রন্ধনশালায় ডেজার্ট নামক কিছুই নেই। আমরা শুধু স্কুলে এটা পেতাম। এ সময় তিনি আরো
জানান, অনেক আগে থেকেই পনির পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু
বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় 'পনির থাকে না'।
এদিকে দ্য গার্ডিয়ানে তার এই
সাক্ষাৎকার প্রকাশের পরপর সমালোচনার মুখে পরেন নাদিয়া। বিশেষত তার বাঙ্গালী
কমিউনিটি থেকে সরাসরি বলা হয়, নাদিয়ার বক্তব্য সঠিক নয়। সে বাংলাদেশ ও তার
সংস্কৃতি সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখে না।
নামিরা হোসেন তার অ্যাকাউন্টে
লেখেন, নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে চেয়ার আছে, ডেজার্টও
আছে। আর স্থানীয় ভাবে 'চিজ' কে
আমরা পনির বলি।
ফারাস খান সাইদ এই বক্তব্যকে
সমর্থন করে লেখেন,
এই মেয়েটা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের জন্য 'রোল মডেল' নয়। আসলে সে কি বলছে, সেটা সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই। ফারাস খান আরো জানান, নাদিয়ার বক্তব্য ধারণা প্রসূত। বাংলাদেশে নিশ্চিতভাবেই ডেজার্ট রয়েছে।
যেমন- দৈ, ফিরনি, অনেক রকমের
মিষ্টি। আর আমাদেরও দেশি পনির আছে। এটা অনেকটা সুইস পনিরের মত দেখতে।
ফারহানা রহমান লেখেন, সে সম্ভবত
তার অতীত নিয়ে কথা বলেছে, যার সঙ্গে সাধারণ বাংলাদেশিদের
কোন মিল নেই। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামগুলোতেও এই দৃশ্য খুঁজে পাবে না কেউ।
আমি এই নারীকে (নাদিয়া) সম্মান করে, কিন্তু তার 'আমার দেশ গরিব, তৃতীয় বিশ্বের' এমন ভাবধারা খুবই বিরক্তিকর।
তিনি আরো জানান, নাদিয়া তার
দেশকে নিয়মিতভাবে ছোট করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ
সম্পর্কে কিছু বলার আগে তার কিছু গবেষণা করে নেয়া উচিত ছিল। ডেইলি মেইল।
Post A Comment:
0 comments: