অনলাইন : বর্তমান সরকারের মেয়াদেই
জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার সহায়তায় আরও দুটি মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১
এবং এমআরটি লাইন-৫) নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২৯ জুন জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ
আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ডেপুটি স্পিকার মো.
ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
তিনি বলেন, সরকার গত মেয়াদ হতে এমআরটি লেন-৬ বাংলাদেশের
প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ডিপো নির্মাণের
জন্য রাজউক থেকে ২৩.৮৪ হেক্টর জমি পাওয়া গেছে।
ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ মো. এনামুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে
ওবায়দুল কাদের জানান, যে সকল ২-লেন মহাসড়কে ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
সে সকল মহাসড়কে মূল সড়ক হতে পৃথকভাবে বাস-বে নির্মাণ করা হবে।
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সাসেক প্রকল্পের আওতায় মূল সড়ক
হতে বাস স্টপেজসমূহকে পৃথক করে বাস-বে এবং যানজট এড়ানোর জন্য টার্নিং পয়েন্টে ওয়েটিং
লেন নির্মাণের সংস্থান করা হয়েছে।
গত রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর উত্তরা থেকে ২০ কিলোমিটার পথ
৩৮ মিনিটে পেরিয়ে যাত্রীদের মতিঝিলে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেট্রোরেল কর্মযজ্ঞের
উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় সবার আগে কাজ শুরু হচ্ছে উত্তরা
তৃতীয় পর্যায় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ৬ নম্বর রুটের। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ
কাজে জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
ওই প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল
(বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন) পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হলেও
প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিক চলাচল শুরু করা হবে।
Post A Comment:
0 comments: