অনলাইন
ডেস্ক : প্রায়
এক বছর ধরে ভারতের শিলংয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। ২০১৫ সালের
মার্চ মাসের দিকে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেক নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। তার দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী এর সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে
বলেছিলেন, সালাউদ্দিন আহমেদ র্যাবের হেফাজতে আছেন। এর কিছুদিন পরেই ভারতের মেঘালয়ে
সালাউদ্দিন আহমেদের সন্ধান মেলে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর তরফ থেকে বিএনপি’র
অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়।দীর্ঘদিন পর বিবিসিকে স্বাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।
জানিয়েছেন বাংলাদেশে দু’মাস
‘বন্দি থাকার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা’র কথা।
সাক্ষাৎকারে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় ভারতে আসিনি। আমাকে
বাংলাদেশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং যারা অপহরণ করেছে তারাই তাকে হাত-পা এবং চোখ বেঁধে
ভারতে রেখে গেছে।’ কিন্তু কারা তাকে অপহরণ করেছে
সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দু’মাস
আমি তাদের কাস্টডিতে (হেফাজত) ছিলাম। এর চাইতে আর কী বলা যাবে?
এ দু’মাস সেই কাস্টডিতে কেমন ছিলেন,
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,যেভাবে মানুষ কবরে থাকে। অনেকটা ওরকম।
বর্তমানে মেঘালয়ের একটি আদালতে সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে
অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা চলছে। এই মামলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন,ভারতে আমি নিজে থেকে আসিনি। এটা সবাই জানে। এই বিষয়টি আদালতকে বোঝানোর
চেষ্টা করবো। আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
গত এক বছরে তিনি ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এজন্য মেঘালয়
রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
Post A Comment:
0 comments: