হেফাজুল করিম রকিব : ইউরোপীয়
ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায়ে লন্ডন প্রবাসী
বাংলাদেশিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ইইউর বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের
সুবিধা নিয়ে অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাদের আশঙ্কা,
ব্যবসা ও ভিসাসহ নানা জটিলতা বাড়তে পারে। অন্যদিকে ব্রেক্সিটের
পক্ষে ঐতিহাসিক এ রায় ব্রিটেনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা
নিয়ে গত ২৩ জুন ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। এতে ৫২ শতাংশ ভোটার ইইউ থেকে বের হয়ে
যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। তবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেট এলাকার ভোটাররা
ইউরোপে থাকার পক্ষে ভোট দেন। এখানে ৬৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ নাগরিক ইউনিয়নে থাকার পক্ষে
আর ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন। ব্রিটিশ এমপি তিন বাঙালি নারীও ছিলেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ৪৩ বছরের
সম্পর্ক বিচ্ছেদের রায়ে আশাহত হয়েছেন অনেক বাঙালি। তাদের আশঙ্কা, এতে ব্যবসা
ও ভিসাসহ নানা জটিলতায় পড়তে হতে পারে।
এদিকে ইইউর বিভিন্ন দেশের
পাসপোর্টের সুবিধা নিয়ে অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাদের
মধ্যেও রয়েছে ভবিষ্যতের শঙ্কা। অন্যদিকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে
দেখছেন কেউ কেউ। ব্রেক্সিটের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় ব্রিটেনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের
অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমনটিই মনে করছেন তারা। আর ইইউ থেকে
বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৩০ লাখ ইইউভুক্ত নাগরিক কী ধরনের
পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে এখন তা
নিয়েই চলছে বিচার বিশ্লেষণ।
সুত্র : দৈনিক আমাদের সময়
Post A Comment:
0 comments: