সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ ট্রাক ভর্তি মানুষ আর শত শত মোটর
সাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে বিয়ানীবাজারে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। যদিও এভাবে ট্রাক ও মোটর সাইকেল দিয়ে শোডাউন করা
সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্গন এরপরও এব্যাপারে নিরব ছিল প্রশাসন।
রহস্যজনক কারণে তারাও দর্শকের ভুমিকা পালন করে। তবে এর ব্যতিক্রম ছিলেন অন্যান্য
দলের প্রার্থীরা।
জানা যায়,বিয়ানীবাজারে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আজ ছিল শেষ দিন। এউপলক্ষ্যে সকাল ১০টা থেকেই
উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আসতে থাকেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী
বিভিন্ন দলের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা। তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে সব
থেকে চোঁখে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের
মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যাপক লোকসমাগম ও শোডাউন। ক্ষমতাসীন এই দলের কম বেশি সব
প্রার্থী নিজেদের অবস্থান জানান দিতে মোটর সাইকেল, সিএনজি, কার র্যালী সহকারে উপজেলা প্রাঙ্গনে সমর্থকদের নিয়ে আসেন।
এসবের মধ্যে চোঁখে পড়ার মত ছিলো ৪নং শেওলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান
প্রার্থী মোঃ জহুর উদ্দিনের ট্রাক র্যালীটি। তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য
২টি ট্রাক ও কয়েক’শ মোটর সাইকেল নিয়ে
উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এরপর একে একে মোটর সাইকেল শোডাউন সহকারে স্থানীয় নির্বাচন
কমিশন কার্যালয়সহ নির্ধারিত রিটার্ণিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা
দেন, মুল্লাপুর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজাকারপুত্র মোঃ আশরাফুল ইসলাম,তিলপারা ইউনিয়নের এমাদ উদ্দিন,কুড়ারবাজার ইউনিয়নের হাজী মাহমুদ আলী,চারখাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমদ আলী,লাউতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান
হাজী এম এ জলিল। এসময় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নৌকা নৌকা
শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় সিলেট থেকে আগত আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
নাসির উদ্দিন খাঁনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্গন ও
প্রশাসনের নিরবতায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাদের
প্রতিদ্বন্ধিদলের প্রার্থীসহ সতন্ত্র প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আজ যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান
প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন করেছেন সেভাবে যদি অপর কোন দলের প্রার্থী বা
সতন্ত্র প্রার্থীরা তা করতেন তাহলে নিশ্চয় এতক্ষণে প্রাশসন তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিয়ে নিত। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা না
দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা
সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, আমরা
তো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে ব্যস্থ ছিলাম তাই্ এবিষয়ে অবগত নই। তবে এরকম
কেউ যদি আচরণ বিধি লঙ্গন করে থাকে তাহলে আমরা নিশ্চয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
Post A Comment:
0 comments: