অনলাইন
ডেস্ক : যুদ্ধাপরাধী
মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম শামা টিভির খবরে এই দাবি করা
হয়েছে। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে শামা টিভি জানিয়েছে, এরইমধ্যে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চৌধুরী নিসার আলি খান পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামি প্রধান সিরাজ উল হককে টেলিফোন করেছেন।
নিজামীর ফাঁসির প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কৌশল নির্ধারণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ
করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। শামা টিভি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে অন্যান্য
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতেও সম্মত হয়েছেন তারা।চৌধুরী নিসার আলি খান নিজামীর
ফাঁসিকে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেন।
এর আগে নিজামীর ফাঁসি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক প্রস্তাব
পাশ করে পাকিস্তান সংসদ। ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ
বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। আর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে
বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারের
প্রতি সমন জারি করা হয়েছে। মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি অত্যন্ত দুঃখজনক। ত্রুটিপূর্ণ
বিচার প্রক্রিয়ায় ১৯৭১ সালে ঘটা অপরাধের শাস্তি হিসেবে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। আমরা
এই ফাঁসির প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের সকল চেষ্টা সত্ত্বেও
বাংলাদেশ পাকিস্তান-বিদ্বেষী পদক্ষেপ নিচ্ছে যা অত্যন্ত অনুশোচনার বিষয়।’ এতে আরও দাবি করা হয়, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায়
নিজামীদের সাধারণ ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের সরকার।
তবে ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যের
কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশি কারও বিচার করা যাবে না এমন কোনও কিছুর সামান্যতম ইঙ্গিতও
নেই।
এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক
সংস্থা, মানবাধিকার গ্রুপ এবং আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে
আসছেন। যদিও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অতীতে গঠিত সব ট্রাইব্যুনালের থেকে বাংলাদেশের
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ
বেশি। সূত্র: সামা টিভি
Post A Comment:
0 comments: