বিনোদন ডেস্ক সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ বিয়ে করেছেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। মাহির বর সিলেটের কদমতলি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপু। বিয়ের পর প্রথমবারের মতো আজ শুক্রবার দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছেছেন মাহি।

বিয়ের কারণে ঘরে-বাইরে যখন আনন্দের ঘনঘটা ঠিক তখনই দুঃসংবাদ এসে হাজির হয়েছে মাহির শ্বশুর বাড়িতে। আজ দুপুরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন মাহির ফুফা শ্বশুর। নতুন বৌকে বরণ করে নিতে যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক তখনই এমন দুঃসংবাদ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যু সংবাদে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির সকলের মন খারাপ হয়েছে। বাড়ির সবাই ছুটে যাচ্ছেন অপুর ফুফুর বাড়ি।
মাহি সেখানে যাচ্ছেন কিনা এ বিষয়ে জানা না গেলেও তার বর অপু বাড়ির অন্যদের সঙ্গে ফুফুর বাড়িতে গেছেন বলে জানা গেছে।এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় গায়ে হদুল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পরদিন বুধবার সিলেটি ছেলে অপুর সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন মাহি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৪ জুলাই সিলেটে মাহির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হবে।
এদিকে, সিলেট নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলি (মুমিনখলা) এলাকার স্বর্ণশিখা (অপুর বাড়ি) বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের বাড়ির অবস্থা এখনো প্রায় জমিদার বাড়ির মতো। বাড়িতে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকলে বিভিন্ন প্রকাশ ফলজ ও বনজ গাছ আর বাঁশে বাড়িটি বেষ্টনি দিয়ে রেখেছে।

মাহির স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপু পেশায় ব্যবসায়ী হলেও তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।অপুর দাদা আবদুল হামিদ ছিলেন সিলেটের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা। সিলেটের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদর শীর্ষ সারিতেই ছিল আবদুল হামিদের নাম। তবে সিলেটের গণ্ডি পেরিয়ে আবদুল হামিদ জাতীয় পর্যায়েও নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন আবদুল হামিদ। আর সেই আব্দুল হামিদের ছেলে হলেন মাহমুদ পারভেজ অপুর বাবা আব্দুল মান্নান। তিনি বাবার মতো এতোটা সুনাম অর্জন না করতে পারলেও ধরে রেখেছেন বাবা রেখে যাওয়া সম্পত্তির হাল। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন কয়লা আমদানিকারক।
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: