বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিত্ত-বৈভবের
মালিক হওয়ার আশায় ম্যাগনেট খুঁজে হয়রান হচ্ছে বিয়ানীবাজারের প্রায় ২০০ লোক। ৪টি
স্তরে গড়ে ওঠা এই ম্যাগনেট সিন্ডিকেটে কিশোরসহ
মহিলারাও যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু
লাভজনক এই ম্যাগনেট পাওয়া তো দূরের কথা উপরন্তু প্রতারিত হয়ে এই সিন্ডিকেটের
সদস্যরা সর্বস্ব হারাচ্ছেন। স্ত্রীর গয়না থেকে শুরু করে ভিটেমাটিও বিক্রি করছেন
কেউ কেউ। তবুও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ‘ম্যাগনেট’। বিলাসী জীবনের আশায় তারা ঘুরছেন এপথে-ওপথে, এবাড়ি-ওবাড়ি।
ভোররাত থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি তাদের অনুসন্ধানী (!) চোখগুলো ব্যস্ত
ম্যাগনেটের সন্ধানে। তাদের কাছে মনে হয়, বন্ধুর পথ পাড়ি
দিয়ে সামনেই প্রচুর অর্থের হাতছানি। তাই আর ক’টা দিন কষ্ট শেষে
পাওয়া যাবে সাধের ম্যাগনেট। প্রতীক্ষা যেনো শেষ হয় না, ম্যাগনেট
খোঁজা চলছেই, কবরস্থান থেকে শুরু করে সীমানা পিলার এমনকি
হিন্দুদের প্রাচীন তীর্থস্থানগুলোও বাদ যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা
গেছে, প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজারে প্রায় পনেরো বছর আগে থেকে একটি বিশেষ
সিন্ডিকেট ম্যাগনেট অনুসন্ধান শুরু করে। তৎকালীন সময়ে উপজেলা ছাত্রদলের তুখোড় নেতা
শাহীন আহমদ এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্যাগনেট খোঁজার কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে
যোগ দেন বিয়ানীবাজারের কয়েক ধনাঢ্য ব্যক্তিও। কিন্তু ম্যাগনেট খুঁজতে খুঁজতে হয়রান
হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সর্বস্বই হারান শাহীন। বর্তমানে নিজ এলাকা ছেড়ে তিনি
রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিভৃত জীবনযাপনকেই বেছে নিয়েছেন। প্রয়াত এক উপজেলা
চেয়ারম্যানসহ বিয়ানীবাজারের অনেক সমাজপতিও ম্যাগনেটের পেছনে ঘুরে সবকিছু হারাতে
বসেছেন। মোল্লাপুর ইউনিয়নের প্রয়াত এক চেয়ারম্যানও ম্যাগনেট অনুসন্ধান করে শেষ
পর্যন্ত হতাশ হয়ে নিভৃত জীবনযাপন শুরু করেছিলেন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে বড়লেখা উপজেলার জামকান্দিতে এক চা শ্রমিককে কবর দেয়া হয়। তখন তাদের ধর্মীয় রেওয়াজ অনুযায়ী, লাশের সঙ্গে রূপা ও তামার ৮টি পয়সা কবরে রেখে দিয়ে আসেন তার স্বজনরা। কিন্তু ৩ দিন পরে তারা গিয়ে দেখতে পান-সেই কবরটি খুঁড়ে পয়সাগুলো তুলে নিয়েছে ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, ১৫ লাখ টাকায় এই পয়সাগুলো বিক্রি করা হয়েছে ঢাকার এক মহাজনের কাছে। বিয়ানীবাজারের দেউলগ্রামে প্রায় বছরখানেক আগে বজ্রপাতে নিহত এক ব্যক্তির লাশ কবর দেয়া হয়। এর ৪ দিন পরে গভীর রাতে ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা কবরস্থানের নিচ দিয়ে ওই কবরে সমাহিত ব্যক্তির শরীরে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দেয়। উদ্দেশ্য বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির শরীরে ম্যাগনেট জাতীয় কোনো কিছু রয়েছে বুঝিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা। কিন্তু ঢাকার সেই ক্রেতাদের দল বিষয়টি বুঝতে পেরে সে পথে আর পা বাড়ায়নি।
বর্তমানে ম্যাগনেটের বাজারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পয়সাগুলোর কদর সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া ১৮০৮ সালের রাম, লক্ষণ, সীতার ছবি আকৃত পয়সাগুলোরও কদর রয়েছে। তবে একটি সূত্র জানায়, উপজেলায় বর্তমানে ম্যাগনেট পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে প্রাচীন বাটি, জগ, বদনা, সুরমাদানি, বোতলের মুখের পয়সা, প্রাচীন কাপ-পিরিছ ইত্যাদিও কিনে নিচ্ছে ম্যাগনেট সিন্ডিকেট। এই দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যেসব পয়সা চালের রস চুষে ছেড়ে দেয় কিংবা গ্লাসের পানির রঙ সবুজ বর্ণ ধারণ করে সেগুলোতেই ইউরেনিয়াম থাকতে পারে। বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব প্রাচীন পয়সার অবাধ ছড়াছড়ি রয়েছে। বিশেষ করে হিন্দু পরিবারগুলোতে এই পয়সাগুলো যত্ন করে রেখে দেয়া হয়েছে। তাই হিন্দু পরিবারগুলো টার্গেট করেই ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৌশলী ভূমিকায় মাঠে নেমেছে এখন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে বড়লেখা উপজেলার জামকান্দিতে এক চা শ্রমিককে কবর দেয়া হয়। তখন তাদের ধর্মীয় রেওয়াজ অনুযায়ী, লাশের সঙ্গে রূপা ও তামার ৮টি পয়সা কবরে রেখে দিয়ে আসেন তার স্বজনরা। কিন্তু ৩ দিন পরে তারা গিয়ে দেখতে পান-সেই কবরটি খুঁড়ে পয়সাগুলো তুলে নিয়েছে ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, ১৫ লাখ টাকায় এই পয়সাগুলো বিক্রি করা হয়েছে ঢাকার এক মহাজনের কাছে। বিয়ানীবাজারের দেউলগ্রামে প্রায় বছরখানেক আগে বজ্রপাতে নিহত এক ব্যক্তির লাশ কবর দেয়া হয়। এর ৪ দিন পরে গভীর রাতে ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা কবরস্থানের নিচ দিয়ে ওই কবরে সমাহিত ব্যক্তির শরীরে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দেয়। উদ্দেশ্য বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির শরীরে ম্যাগনেট জাতীয় কোনো কিছু রয়েছে বুঝিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা। কিন্তু ঢাকার সেই ক্রেতাদের দল বিষয়টি বুঝতে পেরে সে পথে আর পা বাড়ায়নি।
বর্তমানে ম্যাগনেটের বাজারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পয়সাগুলোর কদর সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া ১৮০৮ সালের রাম, লক্ষণ, সীতার ছবি আকৃত পয়সাগুলোরও কদর রয়েছে। তবে একটি সূত্র জানায়, উপজেলায় বর্তমানে ম্যাগনেট পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে প্রাচীন বাটি, জগ, বদনা, সুরমাদানি, বোতলের মুখের পয়সা, প্রাচীন কাপ-পিরিছ ইত্যাদিও কিনে নিচ্ছে ম্যাগনেট সিন্ডিকেট। এই দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যেসব পয়সা চালের রস চুষে ছেড়ে দেয় কিংবা গ্লাসের পানির রঙ সবুজ বর্ণ ধারণ করে সেগুলোতেই ইউরেনিয়াম থাকতে পারে। বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব প্রাচীন পয়সার অবাধ ছড়াছড়ি রয়েছে। বিশেষ করে হিন্দু পরিবারগুলোতে এই পয়সাগুলো যত্ন করে রেখে দেয়া হয়েছে। তাই হিন্দু পরিবারগুলো টার্গেট করেই ম্যাগনেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৌশলী ভূমিকায় মাঠে নেমেছে এখন।
Post A Comment:
0 comments: