সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ একটু বৃষ্টি হলেই হাটু
“পানি”।
আর মোঘষধারে অথবা ভারীবর্ষণ হলে তো আর কথাই নেই। দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বলতে গেলে পৌরবাসী
পানির কাছে হয়ে পড়েন অসহায়। বৃষ্টির অথৈ পানিতে পৌরবাসী হয়ে পড়েন “পানিবন্ধী”।
বৃষ্টির মৌসুমে নোংরা পানি ঘেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার
কষ্টকর ছবি পত্রিকার মাধ্যমে দেখে অভ্যস্থ বিয়ানীবাজারবাসী এখন জলাবদ্ধ শহরের বাসিন্দা।
অল্প বৃষ্টি কিংবা অধিক বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো । যার
ফলে যানবাহন কিংবা পথচারী সবাইকে গন্তব্যে যেঁতে হয় নোংরা পানি ঘেঁটে। আর এই বিষয়টি
এখন বিয়ানীবাজার পৌরবাসীর জন্য নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। পৌর এলাকার বাসিন্দারা
জলাবদ্ধ অংশটুকু পার হয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
আতাউর রহমান খান, পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনসহ উপজেলার রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারক
এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের গুষ্টি উদ্ধার করেন। এখন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের নিত্য দুর্ভোগের
এ বিষয়টি দেখবে কে ? মূলত এসব বিষয় দেখার কথা বিয়ানীবাজার পৌরসভার। অথচ ২০০১ সাল থেকে
পৌরসভায় উন্নীত হওয়া এ শহরের বাস্তবে জলাবদ্ধতা নিরসনের কোন সঠিক পরিকল্পনা নেই বললেই
চলে। সঠিক পরিকল্পনায় বছরে একেকটি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা নিলে পৌরবাসী
এ দুভোর্গে পড়তেন না বলে অভিমত জানালেন কলেজ রোডের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। আর বয়স্ক
তজম্মুল আলীর আক্ষেপ, বিয়ানীবাজার “ইউনিয়ন”
থাকাবস্থায় বরং আরো অনেক ভালো ছিল। আগে নিঃসন্দেহে হাঁটাচলা করতে পারলেও এখন রাস্তা
দিয়ে হেটে মসজিদে যাওয়ার পর মনে সন্দেহ থাকে শরীর পবিত্র আছে কি না ?
এদিকে প্রতিনিয়ত ড্রেনের ময়লা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে ছড়িয়ে
পড়ছে সর্বত্র। বিয়ানীবাজার থানার সম্মুখ ভাগের মতো খাসাড়িপাড়ার মোকাম মসজিদ এলাকার
রাস্তা, সরকারি কলেজের সম্মুখভাগ, চাউলগলি, শহিদ টিলা, পৌরসভার সম্মুখ ভাগ, উপজেলা
চৌমুহনি, সুপাতলার রাস্তার সম্মুখসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পৌরবাসীকে। যেন তাদের এই কষ্ট দেখার কেউ নেই। য়ার ফলে পৌর
নাগরিকরাও করছেন নানা মন্তব্য।
আহমেদ শরীফ নামে
এক পথচারী বিয়ানীবাজার থানা সম্মুখ ভাগ পার হওয়ার সময় আপন মনে মন্তব্য করলেন-এটা ডিজিটাল
বাংলাদেশের নমুনা। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয়ভাবে অনেক প্রভাবশালীর
এ শহর এভাবে দুর্ভোগ পোহাবে তাঁ আমরা কল্পনাও করি নি।
আর কলেজ ছাত্র ছিদ্দিক রহমান ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত
করে বলেন, ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার চিত্র পত্রিকায় দেখে ওই সব এলাকার মানুষের
জন্য আমাদের করুণা হতো। তখন ভাবতে পারেনি আমাদেরও এরকম দশা হবে।
এব্যাপারে বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন বলেন,
পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য আগের থেকে বর্তমানে
পৌরশহরে জলাবদ্ধতা অনেক কম।
Post A Comment:
0 comments: