মানিকগঞ্জ: পদ্মা নদীর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বালুবাহী ট্রলার (ইঞ্জিনচালিত নৌকা) ডুবিতে নিখোঁজ মাঝি রহিজ উদ্দিনেরও (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলের একটু ভাটিতে লাশ ভেসে উঠলে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার করেন।এর আগে সকালে দুর্ঘনাস্থলের পাশে ভেসে উঠলে নিখোঁজ শ্রমিক পাবনা সদর উপজেলার চর তারাপুর গ্রামের আহমেদ প্রামাণিকের ছেলে কুদ্দুস প্রামাণিকের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রহিজ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের মাঝি ছিলেন।রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের কবলে পড়ে পাটুরিয়ার তিন নম্বর ঘাটের পন্টুনে ধাক্কা লেগে এই ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারের ছয় শ্রমিক সাতরিয়ে তীরে উঠেন। আর নিখোঁজ হন ট্রলারের মাঝি ও এক শ্রমিক।প্রত্যক্ষদর্শী সহকর্মী আফজাল প্রামাণিক জানান, চর তারাপুর এলাকা থেকে একটি ট্রলারে ২৪শ ফুট বালু ও মাঝিসহ আট শ্রমিক রবিবার দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। সেখানে বিকেল পাঁচটার দিকে বালু নামানো শুরু করেন শ্রমিকরা।সন্ধ্যার দিকে ঝড় শুরু হলে প্রচণ্ড-বাতাস ও প্রবল ঢেউ থেকে ট্রলারটি নিরাপদ স্থানে নেয়ার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় ঝড়ে ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ হারান মাঝি।এক পর্যায়ে ট্রলারটি তিন নম্বর ঘাটের পন্টুনের সঙ্গে এসে ধাক্কা লেগে খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়। মাঝিসহ শ্রমিকরা নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে থেকে সাতরিয়ে তীরে উঠেন ছয়জন।আর ওই মাঝিসহ দুই শ্রমিক নিখোঁজ হন বলেও জানান আফজাল।আরিচাস্থল কাম নদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মাহমুদ আলম জানান, সকাল আটটার দিকে লঞ্চ ও তিন নম্বর ঘাটের পন্টুনের কুদ্দুসের লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৪০ গজ ভাটিতে রহিজের লাশ ভেসে উঠে।এ সময় টহলরত নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্য লাশ উদ্ধার করে পাড়ে এনেছেন।
পাটুরিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন জানান, আইন অনুযায়ী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কুদ্দুসের লাশ বাড়ি নিয়ে গেছেন স্বজনরা।

আর এখন একইভাবে রহিজের লাশও স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: