ফ্রান্স থেকে নুরুল ওয়াহিদ: বাংলাদেশ
দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য আছে। কিন্তু সরকারের
সঠিক প্রচার ও যোগাযোগের অভাবে বহি বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য
জানতে পারছে না। যার কারনে অনেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে না জেনে নেতিবাচক ধারনা পোষন
করে।তাই প্রবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রকৃত চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে
তুলে ধরাই সরকারের উচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশস্থ ফ্রান্সের সাবেক
রাষ্ট্রদূত মিশেল লুমু।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের
অকৃ্ত্রিম বন্ধু প্রখ্যাত দার্শনিক ফ্রান্সের সাবেক কালচারাল মিনিষ্টার আন্দ্র
মারলোর হাতে গড়া সংগঠন ‘এসোসিয়েশন ফ্রান্স বাংলাদেশ’র এক সভায় তিনি এ মন্তব্য
করেন। বাংলাদেশে দীর্ঘ চার বছর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা মিশেল লুমু আরো বলেন, বাংলাদেশের সাথে
ফ্রান্সের আরো বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল।কারন ১৯৭১ সালের মহান
স্বাধীনতা যুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ও ফ্রান্সের জনগণ বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা
করেছিল। জাতির জনক বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ফ্রান্স সরকার বার
জন যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে এনেছিল।কিন্তু পরবর্তীতে
সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাথে ফ্রান্স
সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘এসোসিয়েশন ফ্রান্স
বাংলাদেশ’র সদস্যদের প্রতি
আহবান জানান।
বুধবার প্যারিসে ফ্রান্স বাংলাদেশ চেম্বার অব ইকোনমি
কার্যালয়ে অনুষ্টিত সংগঠনের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত মিশেল লুমুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের
কোষাধক্ষ্য কাজী এনায়েত উল্লা র সঞ্চালনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্ব পুর্ন বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন ফরাসী নাগরিক ইনাল্কোর বাংলা বিভাগের প্রধান ফিলিপস বেনুয়া, ইনাল্কোর প্রফেসর
জেরেমি করদো,
যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সহ সংগঠনের সদস্যরা। ইনাল্কোর বাংলা বিভাগের প্রধান
ফিলিপস বেনুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সুন্দর ইতিহাস রয়েছে। বায়ান্ন ও ৭১ সালের ইতিহাস
পর্যালোচনার মাধ্যমে এই সংগঠন ইউনাস্কের কাছে দাবী তুলবে ফ্রান্সে একটি স্থায়ী
শহিদ মিনার স্থাপনের’। সংগঠনের কোষাধক্ষ্য কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘যেহেতু সংগঠনের
নব্বই ভাগ সদস্যই ফরাসী কূটূনীতিক ও সুশীল সমাজের তাই এই সংগঠন বাংলাদেশের সব ভালো
দিকগুলো সঠিক ভাবে ফ্রান্স সরকারের কাছে উপস্থাপন করে দুদেশের মধ্যে বন্ধত্বপূর্ণ
সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা পালন করবে’। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ও
বাংলাদেশের জনগণের সাথে সু সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭২ সালে ফ্রান্সের
তৎকালীন সংস্কৃতি মন্ত্রী দার্শনিক আন্দ্রে মারলো প্যারিসে প্রতিষ্টিত করেছিলেন ‘এসোসিয়েশন ফ্রান্স
বাংলাদেশ’। ফরাসী মানবতাবাদী
ও কূটনীতিকদের সমন্বয়ে গঠিত এ সংগঠনটি মূলত বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্ক স্থাপন ও যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশকে পূর্নগঠনে সহায়তা করতেই সংগঠনটির মূল
জন্ম হয়েছিল।
Post A Comment:
0 comments: