অনলাইন
ডেস্ক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক
দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন কমিটিকে
নির্বাচনী প্রতীক মশাল দেয়ার বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দুই পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর ফলে জাসদের আরেকপক্ষের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের
নেতৃত্বাধীন কমিটি মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার
নেতৃত্বাধীন কমিটির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর
১১-১২ মার্চ, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরি
কমিটি গঠন করে। যেহেতু হাসানুল হক ইনু সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা,
২০০৮ এর ৯ বিধি অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির নির্বাচন, সদস্যগণের তালিকা এবং
কাউন্সিলের কার্যবিবরণীর কপি নির্বাচন কমিশনের অবগতির জন্য প্রেরণ করেছেন, সেহেতু তাদের
অনুকূলে মশাল প্রতীক বহাল রাখা হল। অপরদিকে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান
বরাবর পৃথক চিঠিতে বলা হয়েছে, মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং নাজমুল হক
প্রধান এমপি কর্তৃক জাতীয় কাউন্সিল সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম জাতীয় সমাজতান্ত্রিক
দল-জাসদ এর গঠনতন্ত্র অনুসারে না হওয়ায় এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর
৯ বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল না করায় এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের করণীয়
কিছু নেই। এর আগে দুই পক্ষ মশাল প্রতীকের দাবি জানালে গত ৬ এপ্রিল তাদের ডেকে শুনানি
করে ইসি। শুনানির এই রায় দুই পক্ষকে জানিয়ে দিল ইসি। জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দু’ভাগ হয়ে যায় দলটি। সংসদ সদস্য শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক
করার বিরোধিতা করে গত ১২ মার্চ কাউন্সিলে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে বেরিয়ে
আলাদা কমিটি ঘোষণা করে দলটির একটি অংশ। এই অংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ
সম্পাদক করা হয় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে। এই কমিটিতে কার্যকরি সভাপতি হয়েছেন
সংসদ সদস্য মঈনুদ্দীন খান বাদল।
Post A Comment:
0 comments: