জনপ্রিয় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। মামলার রহস্য উদঘাটনে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা, অপহরণ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তারা দুজনই আদালতকে বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তিনি যাতে জামিনে বেরিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। শুনানি শেষে আদালত মাহমুদুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। আদেশে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ ও জিজ্ঞাসাবাদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন। একই মামলায় বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রহমানকে গত ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওই রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তাকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর কারাগারে বন্দি আমার দেশ পত্রিকায় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে এই মামলায় গত ১৮ এপ্রিল গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। সেদিন আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে ২৫ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। গতকাল মাহমুদুর রহমানের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমেরিকায় জয়কে অপহরণ করা হয়েছে, তা আদালত বিশ্বাস করেননি। সেজন্য ওই মামলাটি খারিজ করে দেয়া হয়। কিন্তু এফবিআইর সাথে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সিজারসহ ৩ জনকে শাস্তি দেয়া হয়। সেখানে মাহমুদুর রহমান জড়িত ছিলেন মর্মে কোনো তথ্য ছিলো না। ঘটনা আমরিকায় হওয়া সত্ত্বেও জয় যেখানে কোনো অভিযোগ করেননি, সেখানে পুলিশ অতিউৎসাহিত হয়ে এই মামলায় তাকে জড়িত করেছে। তাই রিমান্ড আবেদন বাতিল করে তাকে জামিন দেয়া প্রয়োজন। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল আমরিকায়, বাংলাদেশ নয়। এই ঘটনায় আমরিকায় মামলা হলে ওই দেশের আদালত অপহরণের ঘটনাটি বিশ্বাস করতে পারেননি। সেজন্য মামলাটি খারিজ করে দেন। এখানে জয় এ মামলায় ভিকটিম হিসাবে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেননি। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চায়। মাহমুদুর রহমান খুবই অসুস্থ। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। বিধায় রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে জামিন দেয়া হোক। এছাড়াও মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানভীর মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া। এছাড়া মামলা পরিচালনায় সহায়তা করেন আইনজীবী জয়নাল আবদীন মেজবাহ, ইকবাল হোসেন, নূরুজ্জামান তপন, এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ। সাংবাদিক নেতা সৈয়দ আবদাল আহমেদসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মাহমুদুর রহমানকে বেলা ২টার দিকে আদালতে আনা হয়। এর পরপরই শুরু হয় শুনানি। ওই সময় মাহমুদুর রহমানকে অত্যন্ত মুমূর্ষু দেখায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশ গত বছরের আগস্টে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। গত ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশ শফিক রেহমানকে আটক করে। পরে তাকে দু-দফা রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এই মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 
Axact

Jonoprio

জনপ্রিয়২৪ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বিশ্বজুড়ে রেমিডেন্স যোদ্ধাদের প্রবাস জীবন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে। স্পেনে বাংলাভাষী প্রবাসীদের প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল।.

Post A Comment:

0 comments: