শিতাংশু গুহ : ১৯১৭ সালের
একদিন হোয়াইট হাউসের সামনে এক ডজন মহিলা ‘নারীর ভোটাধিকার’-এর জন্য নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।
ওই সময় দর্শকরা তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছিল, অনেকে তাদের
পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছিল কিন্তু তারা দমার পাত্রী ছিলেন না, দিনের পর দিন তারা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন। নভেম্বরে হিলারি ক্লিন্টন
নির্বাচনে জিতলে ১শ বছর পর ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি একজন মহিলা মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সমাসীন হবেন। মার্কিনিরা কি একজন মহিলা প্রেসিডেন্টের
জন্য প্রস্তুত? উত্তর জানার জন্য আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা
করতে হবে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে একজন কালো
প্রেসিডেন্ট পেয়েছে, একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট হলে এর সোয়া
দু’শ বছরের গণতন্ত্র
পূর্ণতা পাবে। আসলে কি হিলারি ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবেন? বলা কঠিন,
তবে হিলারির কপাল ভালো, রিপাবলিকান
প্রার্থীরা কেউই ততটা শক্তিশালী নন। তারপরও হিলারি যদি শেষ পর্যন্ত ডেমোক্রেট
প্রার্থী হন, তবু তিনি জয়ী হবেন, এ কথা এখনই জোর দিয়ে বলা যাবে না। সম্প্রতি টানা ১২ বছর হোয়াইট হাউসে
থাকার ইতিহাস ডেমোক্রেটদের নেই; তদুপরি আগামী ৬ মাস কোথাকার
জল কোথায় গড়ায় কে জানে?
এ সময়ে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন হলো, দুই বড়
দলের দুই প্রধান প্রার্থী কারা হচ্ছেন? হিলারি কি আদৌ
প্রার্থী থাকছেন? মে মাস আগত প্রায় অথচ কোনো পক্ষেই
ক্যান্ডিডেট এখনো চূড়ান্ত নয়। আসলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাইমারি
প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং এবার এটা জটিলতর ও দীর্ঘস্থায়ী। হিলারি ক্লিন্টন
মোটামুটি নমিনেশনের কাছাকাছি এসে গেছেন কিন্তু ট্রাম্পের জন্য নমিনেশন এখনো বেশ
দূরে। সর্বশেষ ডেলিগেট অবস্থান হচ্ছে রিপাবলিকান দলে ট্রাম্প ৮৪৫; ক্রুজ ৫৫৯ এবং কাসিজ ১৪৮। জয়ের ম্যাজিক নম্বর হচ্ছে ১২৩৭। এখনো ৭৩৩টি
ভোট বাকি আছে। ডেমোক্রেট দলে হিলারির আছে ১৯৩০ ভোট এবং স্যান্ডার্স ১১৯১। জয়ের
জন্য দরকার ২৩৮৩, এখনো বাকি আছে ১৬৪৪টি ভোট। এ মুহ‚র্তে হিলারির
ডেমোক্রেট নমিনেশন পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% এবং স্যান্ডার্সের ৩%। রিপাবলিকান দলে
ট্রাম্পের ৫৫%, ক্রুজের ৪০% এবং কাসিজের ৩%। এনবিসি নিউজ ১২ এপ্রিলের জরিপে জানাচ্ছে,
হিলারি ও ট্রাম্প চূড়ান্ত প্রার্থী হলে এ মুহ‚র্তে হিলারির
সমর্থন হচ্ছে ৩৮%,
ট্রাম্পের ৩৬%। আর ক্রুজ প্রার্থী হলে হিলারির ৩৭%, ক্রুজের ৩২%। আবার ৩১ মার্চ পিউ রিসার্সের জরিপ বলছে, মাত্র ৩৮% রিপাবলিকান ট্রাম্পের পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছেন।
হিলারি না ট্রাম্প? বাংলাদেশিরা
মোটামুটি হিলারির পক্ষে, তবে ‘বাংলাদেশি মুসলিমস
ফর স্যান্ডার্স’ স্লোগান
নিয়েও কিছু বাংলাদেশি কাজ করছেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি হিন্দুরা অনেকেই ট্রাম্পের
পক্ষে। আওয়ামী লীগাররা অনেকে হিলারির বিপক্ষে; কারণ তারা
মনে করেন হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার অসুবিধা হতে পারে। যাহোক,
১৯ মার্চ ছিল নিউইয়র্কে প্রাইমারি। হিলারি ও ট্রাম্প দু’জনেই বিশাল বিজয়
পেয়েছেন, দু’জনেরই মনোনয়নের পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে কিন্তু তাতেও তাদের
প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়নি। ডেমোক্রেট শিবিরে হিলারি ৫৮% ভোট পেয়ে ১৩৯ জন ডেলিগেট
এবং বার্নি স্যান্ডার্স ৪২% ভোট পেয়ে ১০৮ জন ডেলিগেট জিতেছেন। রিপাবলিকান শিবিরে
ট্রাম্প ৬০% ভোট পেয়ে ৮৯ জন ও জন কাসিচ ২৫% ভোট পেয়ে ৪ জন ডেলিগেট জিতেছেন। টেড
ক্রুজ ১৪% ভোট পেলেও কোনো ডেলিগেট জেতেননি। হিলারির জন্য নিউইয়র্ক জিতে বার্নি
স্যান্ডার্সকে থামানোর প্রয়োজন ছিল, কারণ এর আগে ৮টি স্টেট ও টেরিটরির
মধ্যে ৭টিতেই স্যান্ডার্স বিজয়ী হন। সামনের মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ফিলাডেলফিয়াসহ ৫টি
স্টেট ও টেরিটরিতে প্রাইমারি, স্যান্ডার্স আশা করছেন তিনি
আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসবেন। মনোয়নের জন্য স্যান্ডার্সকে বাদবাকি প্রাইমারির ৭৩%
জিততে হবে, যা একরকম অসম্ভব। হিলারি যদি বাদবাকি সব
স্টেটেও হারেন তবু ডেলিগেট ভাগাভাগিতে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ২৩৮৩
সংখ্যক ডেলিগেট পেয়ে যাবেন। এবার নিউইয়র্ক প্রাইমারি ছিল যেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ।
এমনিতে নিউইয়র্ক স্টেটের প্রাইমারির তেমন গুরুত্ব থাকে না, কারণ এর আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যায়, এবার
হয়নি, তাই নিউইয়র্ক প্রাইমারি ছিল জমজমাট।
ক্যালিফোর্নিয়ারও একই অবস্থা, এবার গুরুত্ব অনেক। সেখানে
৭ জুন রিপাবলিকান প্রাইমারি। ১৭২টি ভোট। টেড ক্রুজ হৈচৈ করছেন, তবে ট্রাম্প যথেষ্ট এগিয়ে ট্রাম্প ৪১%, ক্রুজ
২৩%, কাসিজ ২১% এবং ১৫% ভোটার মনস্থির করেননি। অনুরূপ
অবস্থা ইন্ডিয়ানাতে, সেখানে ট্রাম্প ও ক্রুজ হাড্ডাহাড্ডি
লড়াই হবে।
প্রশ্ন হলো, হিলারির
মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত জেনেও কেন বার্নি স্যান্ডার্স প্রতিযোগিতা থেকে সরে
দাঁড়াচ্ছেন না? এর বহুবিধ কারণ আছে, তবে হিলারির বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার
ব্যবহার করার বিষয়টি এফবিআই তদন্ত করছে এবং কোনো কারণে তিনি কনভিক্ট হয়ে গেলে
স্যান্ডার্সের কপাল খুলবে। যদিও অনেকের মতে সেক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সম্ভাবনা যথেষ্ট। নিউইয়র্কের রেভারেন্ড আল-শার্পটন
বলেছেন, হিলারি যদি অভিযুক্ত হন তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে হিলারির স্থলাভিষিক্ত করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, ‘পানামা পেপারস’ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কারো কারো সঙ্গে ক্লিন্টন দম্পতির সুসম্পর্ক
রেয়েছে বলে নিউইয়র্ক পোস্ট ‘দি ক্লিন্টনস কানেকশন টু পানামা পেপারস’ হেডিংয়ে
একটি স্টোরি ছেপেছে এবং ক’টি নাম দিয়েছে। উল্লেখ্য, বার্নি স্যান্ডার্সের ম্যাজিক নম্বর
থাকবে না এবং সেক্ষেত্রে কনটেস্টেড কনভেনশন হবে। তবে এমন যদি হয় যে স্যান্ডার্স
সরে দাঁড়াচ্ছেন তবে চিত্র ভিন্নতর হতে পারে। এই প্রথমবার দুই বড় দল থেকে যদি ৪ জন
প্রার্থী থাকেন তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ট্রাম্প দলীয় নেতাদের চৌদ্দগোষ্ঠী
উদ্ধার করছেন এবং ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে তার প্রতি অবিচার হলে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী
হবেন। বার্নি স্যান্ডার্স একই তত্ত্বে বিশ্বাসী? ট্রাম্প
ও স্যান্ডার্স দু’জনেই মনে করেন জনগণ তাদের পক্ষে এবং নমিনেশন তাদেরই প্রাপ্য। দলীয়
নেতারা ষড়যন্ত্র করে নমিনেশন ছিনিয়ে নিলে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন। এ জন্য
এবার কনটেস্টেড কনভেনশনের কথাটা বারবার উচ্চারিত হচ্ছে, বিশেষত
রিপাবলিকান শিবিরে।
আসলে ‘কনটেস্টেড কনভেনশন’ কি? রিপাবলিকাদের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলি : কোনো ক্যান্ডিডেট যখন ম্যাজিক নম্বর
১২৩৭ পাবেন না অথবা স্বাভাবিক নিয়মে বিজয়ী হবেন না, তখন
কনটেস্টেড কনভেনশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধরা যাক, ট্রাম্পের
১০০ ভোট কম আছে। তিনি যদি অঙ্গীকারাবদ্ধ নন এমন ডেলিগেটদের তার পক্ষে টানতে পারেন
এবং কনভেনশনে প্রথম দফা ভোটে ম্যাজিক নম্বর পেয়ে যান, তবে
তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন। প্রথমবার ভোটে কেউ ১২৩৭টি ভোট না পেলে তখন কনটেস্টেড
কনভেনশন অনিবার্য হয়ে পড়ে। ওই সময় অর্ধেকের বেশি ডেলিগেট আপনাআপনি ‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে যান,
অর্থাৎ তারা তখন যে কাউকে ভোট দিতে পারেন। কনভেনশন তখন ‘ব্রোকার্ড’ বা
দরকষাকষিতে পরিণত হয়, পার্টি বসরা সক্রিয় হন। এরপর
দ্বিতীয় দফা ভোট। ১৯৭৬ সালে রোনাল্ড রিগান চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জেরাল্ড ফোর্ডকে,
যদিও ফোর্ড প্রথম দফা ভোটে জয়ী হয়ে দলীয় নমিনেশন পান। এবার
ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করবেন ট্রেড ক্রুজ এবং সে কথা তিনি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন।
কনটেস্টেড কনভেনশনে ২য় বা ৩য় দফা ভোটের পর প্রায় সব ডেলিগেট ‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে যান এবং
তখন তারা যে কাউকে সমর্থন দিতে পারেন। এই ‘ফ্রি এজেন্ট’ হওয়ার প্রক্রিয়াটিও
একেক স্টেটে একেক রকম, যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেলিগেটরা
তৃতীয় দফা ভোটের আগে ফ্রি হতে পারেন না। কনটেস্টেড কনভেনশনে প্রার্থী চূড়ান্ত না
হলে ‘রুলস কমিটি’-র হাতে যায়।
এই কমিটিতে ১১২ জন প্রতিনিধি থাকেন অর্থাৎ ৫০টি স্টেট ও ৬টি টেরিটরি থেকে ২ জন করে
প্রতিনিধি, যাদের ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা নির্বাচিত হয়ে
আসেন। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এবার নির্বাচনের
আরো কিছু খবর দেই : উইসকনসিন ও ওয়াইওমিংসহ ৭টি স্টেটে পরপর জয়ী হওয়ার পর বার্নি
স্যান্ডার্সের জয়ের ধারা নিউইয়র্কে হোঁচট খায়। স্যান্ডার্সের উত্থান আসলেই
বিস্ময়কর, যদিও শেষ রক্ষা হবে না বলেই মনে হয়। তবে তিনি হিলারিকে নাস্তানাবুদ করে
ছাড়ছেন। শেষ পর্যন্ত হয়তো এবার নিউইয়র্ক থেকেই দুই প্রধান দলের দুই প্রার্থীর
মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে হিলারি ও ট্রাম্প? এদিকে রুডি জুলিয়ানি বলেছেন,
‘হিলারি আইসিস-এর
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য’। উইসকনসিনে বিশাল বিজয়ের পথে টেড ক্রুজ এবং এতে কনটেস্টেড
কনভেনশনের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ক্রুজ
হিলারিকে তিনি এমন হারা হারাবেন যে সবাই চমকে যাবে! ২২ মার্চ মঙ্গলবার আরিজোনায়
প্রাইমারিতে হিলারি ও ট্রাম্প জিতেছেন, এই স্টেটে যিনি
যেতেন তিনিই সব ডেলিগেট পান। অপরপক্ষে আইডাহো ও উত্তাহ-য় বার্নি স্যান্ডার্স
জিতেছেন। রিপাবলিকান পক্ষে উত্তাহ-য় জিতেছেন ট্রেড ক্রুজ। সাবেক প্রেসিডেন্ট
পদপার্থী জেব বুশ গত ২৩ মার্চ টেড ক্রুজের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেছেন।
ব্রাসেলসে ইসলামি সন্ত্রাসী আক্রমণের পর ট্রাম্প টুইট করেছেন, ‘মনে পড়ে ব্রাসেলস? একদা
ব্রাসেলস ছিল তিলোত্তমা নগরী, এখন আর নয়।’ নিউইয়র্ক
সিটির সাবেক মেয়র বিলোনিয়ার মাইক ব্লুমবার্গ ৭ মার্চ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি
প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন না। তিনি বলেন, জয় সম্ভব নয় এবং
তদুপুরি তার প্রার্থিতা ট্রাম্পকে সুবিধা দেবে, তাই তিনি
প্রার্থী হবেন না। জল্পনা ছিল যে ব্লুমবার্গ প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নামতে
পারেন, এই ঘোষণায় সেই জল্পনার অবসান হলো। একটি গ্রুপ চাচ্ছিল ‘কন্টেস্টেড কনভেনশন’ করে হাউস
স্পিকার পল রায়ানকে রিপাবলিকান প্রার্থী করতে। স্পিকার রায়ান নিজে ওই উদ্যোগে জল
ঢেলে দিয়েছেন। এর মধ্যে এক ভাষণে তিনি বেশ কড়া ভাষায় বলেছেন, ‘ওসব বন্ধ কর’। তিনি বলেন, এবার আমি
প্রার্থী হতে চাই না। এদিকে ট্রাম্পের বিরোধিতা যতই বাড়ছে, তিনি ততই এগিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার ১১ মার্চ শিকাগোতে তার বিশাল
শোভাযাত্রা নিরাপত্তাজনিত কারণে বাতিল করতে হয়েছে। আগের দিন ১০ মার্চ মায়ামি
ইউনিভার্সিটি বিতর্কে তিনি বিশাল জয় পেয়েছেন। রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের উত্থানের
জন্য ওবামাকে দায়ী করছেন, এ কথা শুনে ওবামা বলেছেন,
‘নো ওয়ে’। ক’দিন আগে সৌদি
প্রিন্স বিলোনিয়ার আল-ওয়ালিদ বিন তালাল আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্পকে নির্বাচনী
রেস থেকে সরে দাঁড়াতে। ১১ মার্চ শুক্রবার ট্রাম্প এর জবাব দিয়ে বলেছেন, আমি
প্রেসিডেন্ট হলে তোমার বাবার টাকায় মার্কিন রাজনীতিকদের কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে কার্লি ফিউরিনা বুধবার ৯ মার্চ টেড ক্রুজকে সমর্থন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য,
ফিউরিনা নিজেও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার ১৫ মার্চ
উভয় দলের ৫টি স্টেটে নির্বাচন ছিল। এর মধ্যে ফ্লোরিডা ও ওহাইও ছিল বেশ
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ওই দুই স্টেটে যিনি যেতেন তিনি সব
ডেলিগেট পান এবং ওই দুই স্টেটে ডেলিগেট সংখ্যা অনেক। হিলারি দু’টোতেই জিতেছেন।
ট্রাম্প ফ্লোরিডা জিতলেও ওহাইওতে জন কাসিচ জয় ছিনিয়ে নেন। নিজ স্টেট ওহাইও না
জিতলে কাসিচকে বিদায় নিতে হতো, যেমন ফ্লোরিডা হেরে বিদায় নিয়েছেন মার্কো
রুবিও। ট্রাম্প নর্থ-ক্যারোলিনা ও ইলিনয়েসে জয় পেয়েছেন। হিলারি ফ্লোরিডা, ওহাইও এবং নর্থ-ক্যারোলিনা জিতে তার নমিনেশনের পথ আরো প্রশস্ত করেছেন।
এ সময় এক ভাষণে তিনি বলেছেন, আমরা ডেমোক্রেট দলীয়
মনোনয়নের দ্বারপ্রান্তে এবং নভেম্বরে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নিউইয়র্ক থেকে
শিতাংশু গুহ : কলাম
লেখক।
সুত্র: ভোরের কাগজ ।
Post A Comment:
0 comments: