বাহার উদ্দিন বকুল,সৌদি আরব: জেদ্দা
আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গনে উজ্জল নক্ষত্র বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সৌদিআরব ইউনিট
কমান্ডের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মিন্টু, বিশিষ্ঠ আওয়ামী রাজনীতিবিদ
আবুল কাশেম সালেহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন এর
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের
আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সৌদি আরব ইউনিট কমা- কাউন্সিল,
জেদ্দা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া
দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতিকে উপহার দিয়েছেন
সুমহান স্বাধীনতা, লাল-সবুজ পতাকা।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
অনেকের জীবনে যুদ্ধ সেখানেই থেমে থাকেনি, জীবন যুদ্ধ এবং
দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির তাগিদে অনেকেই অচলায়তন ভেঙে পাড়ি জমিয়েছেন পরবাসে। মাথার
ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা আয় করেছেন মূল্যবান বৈদেশিকত মুদ্রা, সচল রেখেছেন স্বদেশের অর্থনীতির চাকা। জীবনের সোনালী যৌবন মরুপ্রবাসে
কাটিয়ে অনেকেই আজ ফিরে যাচ্ছেন দেশে।
২১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায়, হোটেল লিমার-এ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,
সৌদি আরব ইউনিট কমা- কাউন্সিল, জেদ্দা’-র সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম.এ. কাশেম এর সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ.কে.এম শহিদুল করীম।
সংবর্ধিত অতিথিগণসহ বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন, কাউন্সিলর
মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন, কাউন্সিলর আজিজুর রহমান, কনসাল মোহাম্মদ রেজাই
রাব্বি, জেদ্দা সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম। রাজনৈতিক ও সামাজিক
ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন ইঞ্জি. আশরাফ উদ্দিন, আবুল
বাশার বুলবুল,এ্যাডভোকেট মাহমুদুর হাসান শামীম, দেলোয়ার
হোসেন সরকার, ইউসুফ মাহমুদ ফরাজী, কাজী নেয়ামুল বশির, মার্শেল কবীর পান্নু,
মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, বীর
মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন ভূইয়া, ফজলুল কবির ভিকু, আজিজুল হক,মোহাম্মদ শাবুদ্দিন প্রমুখ।
বিদায় সংবর্ধিত অতিথি বীর
মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী দেলোয়ার হোসেন
এবং সামাজিক ব্যক্তিত্ব আবুল কাশেম মোহাম্মদ সালেহ-কে মানপত্র এবং সম্মাননা
ক্রেষ্ট প্রদান করেন কনসাল জেনারেল মহোদয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন,
মুক্তিযোদ্ধারা
জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। জীবন বাজী রেখে তারা যুদ্ধ
করেছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্থ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে
তারা প্রবাসে আরেক যুদ্ধে নেমেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তাঁদের প্রবাস জীবনের সফলতায় দেশ আজ মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হচ্ছে। জনাব করীম
বলেন, প্রবাসীদের রেমিটেন্স সরকার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ
করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন
চৌধুরীর সঞ্চালনায়,
সংবর্ধিত অতিথিগণ প্রবাস জীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং জেদ্দার
সামাজিক অঙ্গনসহ পবিত্র মক্কা-মদিনার সংস্পর্শ ছেড়ে যাওয়ার আক্ষপ জানান।
সভাপতির ভাষণে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার
এম.এ. কাশেম বলেন,
বিদায়ী অতিগণের সমাজিক ও সেবাধর্মী কর্মকা- জেদ্দা প্রবাসী সমাজ
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। তিনি তাঁদের জীবনের সাফল্য, অনাবিল
সুখ, সুনির্মল শান্তি, পরিমিত
বিত্ত-বৈভব কামনা করেন।
Post A Comment:
0 comments: