অনলাইন ডেস্ক : রুদ্ররূপ মাত্র
দেখাতে শুরু করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।বিরাট কোহলিও যে খুব একটা সৌম্য-শান্ত, তা বলা
যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আবারও ডাক পড়ল মুস্তাফিজের। আগের দুই ওভারে আশীষ নেহরা ও
ভুবনেশ্বর কুমারকে কচুকাটাকরা এই দুই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয়
ওভারে রান নিতে পারলেন মাত্র ৩টি বলে। ট্রেন্ট বোল্ট থাকার পরও মূল একাদশে কেন
মুস্তাফিজের অগ্রাধিকার, তা বোঝার জন্য ওই একটি ওভারই ছিল
যথেষ্ট।টসে জিতে ডেভিড ওয়ার্নার সিদ্ধান্ত নিলেন ফিল্ডিংয়ের। অপেক্ষার শুরু তখনই—কখন আসবেন মুস্তাফিজ।
তৃতীয় ওভারেই শেষ সেই অপেক্ষার। প্রথম ওভারে ৩টি ডট বল, মাত্র ৪
রান। তখন খুব একটা আহামরি মনে হয়নি। চতুর্থ ওভার থেকেই ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে
ঝড়, আর ওই ঝড়ের মাঝেই মুস্তাফিজের ওই ওভার। ‘মুস্তাফিজ কেন
মুস্তাফিজ’ এত দিন
জেনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট,আজ প্রথম জানল আইপিএল।নিজের
তৃতীয় ওভার যখন করতে এলেন, ততক্ষণে ম্যাচের রং বদলে
গেছে। ডি ভিলিয়ার্স-কোহলির ব্যাটে প্রায় ছিটকে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
প্রথম বলেই ধোঁকা খেলেন ডি ভিলিয়ার্স, বেঁচে গেলেন বোল্ড
হতে হতে। দ্বিতীয় বলেই আর কোনো ‘একটু’ নেই, কাটারে
আউট এবি। পরেই বলেই ফেরালেন শেন ওয়াটসনকে। পঞ্চম বলে আরেকটা ‘একটু’, সরফরাজ
খানের ক্যাচটি ফিল্ডারের হাতে পৌঁছাল না।শেষ ওভারে ১৩ রান দেওয়ার পরও ৪ ওভারে
মাত্র ২৬! যেখানে ওভার প্রতি ৯.৬৯ রান দিয়ে নেহরাই অন্যদের মাঝে সবচেয়ে ‘কৃপণ’! রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান মুস্তাফিজের ওই বোলিংয়ের পরও তাই ২২৭!আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ম্যাচ জেতানো বোলিং করে যাঁর অভিষেক, আইপিএল অভিষেক নিয়ে তাঁর খুব একটা স্নায়ুচাপে ভোগার কথা ছিল না।
কিন্তু এই প্রথম ভিন্ন পরিবেশে প্রায় অপরিচিত সতীর্থদের মাঝে কী করেন মুস্তাফিজ,
তা নিয়ে আগ্রহ ছিলই। কীভাবেই না সে আগ্রহের জবাব দিলেন ‘কিং অব কাটারস্’!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post A Comment:
0 comments: