সুফিয়ান আহমদ,জুড়ি থেকে ফিরেঃ পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র
করে গত ৭ মার্চ অপহরণের পর ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশী এক নাগরিককে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ
বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ৫২
ব্যাটালিয়ন। রোববার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সীমান্ত ও ভারতের
আসাম প্রদেশের করিমগঞ্জের সীমান্তবর্তি রাজকী নামক এলাকায় চোঁখ বেঁেধ ফেলে গেলে সেখান
থেকে তাকে উদ্ধার করে বিজিবি। উদ্ধারের পর তাকে জুড়ি ক্যাম্পে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা
দেয়া হয়। উদ্ধার হওয়া মোঃ খসরু মিয়া মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর গ্রামের
বাসিন্দা। গতকাল সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড’র
জুড়ি ক্যাম্পে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিকে
অপহৃত খসরু মিয়াকে তাঁর স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
লেঃ কর্ণেল মোঃ নেয়ামুল কবির।বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ই মার্চ মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার সুজানগরের বাসিন্দা মোঃ খসরু মিয়াকে (৪০) একই উপজেলার শাহবাজপুরের বড়াইল গ্রামের
বাসিন্দা মোঃ কবির হোসেন (৩১) সুকৌশলে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর ভগ্নিপতি ভারতীয়
নাগরিক মোঃ লোকমান হোসেনের মাধ্যমে তাকে অপহরণের পর ভারতে পাচার করে দেয়। মূলত পাওনা
টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩দিন পর (গত ১০ই মার্চ) অপহৃত
খসরুর স্ত্রী মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার বিষয়টি বিয়ানীবাজারস্থ বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ
বিজিবি লাতু বিওপিকে অবহিত করলে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অপহৃত ব্যক্তিকে ফেরত আনার
ব্যাপারে একাধিকবার ১৩৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর ভারতের
করিমগঞ্জের পুলিশ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। অপরদিকে
বিজিবি ঘটনার মূলহোতা মোঃ কবির হোসেনকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালায়। উভয় পক্ষের প্রচেষ্টায়
ও প্রচন্ড চাপে শেষপর্যন্ত গত রোববার রাতে
অপহৃত খসরু মিয়াকে সীমান্তবর্তি রাজকী নামক এলাকায় চোঁখ বেঁেধ ফেলে রেখে যায়
অপহরণকারীরা। সেখান থেকে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন তাকে উদ্ধার করে মোৗলভীবাজার জেলার জুড়ি
উপজেলার জুড়ি ক্যাম্পে নিয়ে আসে। জুড়ি ক্যাম্পেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় জুড়ি ক্যাম্পে এক সাংবাদিক সম্মেলনের অপহৃত মোঃ খসরু মিয়াকে তাঁর স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের
অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ নেয়ামুল কবির। এসময় জুড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায়
চৌধুরী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার
সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন