রনি মোহাম্মদ,(লিসবন,পর্তুগাল) : একুশ মানে মাথা নত
না করা, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারি। মহান একুশে
উপলক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে মধ্য দিয়ে পর্তুগাল
বিএনপির উদ্দোগে ২৬ শে ফেব্রুয়ারী স্থানীয় কাজা দা কবিলায় হলে
পর্তুগাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি নজরুল শিকদারের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আমির সোহেলের পরিচালনায়
মহান একুশে উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তব্য
রাখেন পর্তুগাল বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা কাজী এমদাদ মিয়া, সাধারন
সম্পাদক মহিন উদ্দীন, যুগ্ম সাধারন
সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার, বিএনপি নেতা জহির আহমেদ, আবদুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার আরিফ মোল্লা,
সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মিনহাজ, ওমর ফারুক,
সাইফুল
হক, আজমল হুসেন, ফরিদ ফাহিম, পারভেজ আহমেদ, মাহবুব হাসান, ওমর সানি ও লিটন কাদেরী
প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছর
আমাদের মাঝে
ফিরে আসে আমাদের গৌরবময় অতীতকে স্মরন করিয়ে দিতে। ৫২র এ ভাষা
আন্দোলন মুলত ৭১ এ একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা গড়ার প্রেরনার বাতিঘর ছিল। ভাষা
সৈনিকরা তাদের জীবন বা
ক্যারিয়ারের বিনিময়ে ততকালীন পাকিস্থানি শাসকগুষ্টির
রক্তচক্ষু বা ১৪৪ ধারার মত জুলুমকে উপেক্ষা করে ময়দানে নেমে জেল খেটে আমাদের
ভাষার স্বাধিনতা এনে দিয়েছিলেন।তাদের
সেদিনকার সে
ত্যাগের বিনিময়ে ৭১এ বাঙ্গালী আরো সাহসী হতে উদ্যোগি হয়।কিন্তু আফসোস আর
পরিতাপের বিষয় আজকের বাংলাদেশ ৫২ বা ৭১র মুল চেতনা শতগুন দূরে অবস্থান করছে।ভাষা
আন্দোলনের অন্যতম প্রফেসর গোলাম আজম, অলি আহাদ, ভাষা
মতিন, গাজিউল হকদের পর্যাপ্ত সম্মান দেয়া হয়নি বলেও
দাবি করেন। এ ছাড়াও ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ এ গঠে যাওয়া ৫৭ জন আর্মি অফিসারের খুনে লাল
পিলখানা ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে বলেন ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং দেশ বিরোধী
কর্মকান্ড পরিচালনা করতে-ই সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সেনা সদস্যদের।
ইতিহাসের নারকীয় এই হত্যাকান্ডের সত্যিকারের বিচার কবে হবে বলে প্রশ্ন রাখেন। অনুষ্টিত সভার শেষে সকল ভাষা শহীদ, পিলখানার
ট্র্যাজেডির নিহত আর্মি অফিসার, শহীদ জিয়া সহ দেশের
সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত এর মাধ্যমে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত হয়৷ দোয়া পরিচালনা করেন
লিসবন বায়তুল মোকাররম মসজিদ এর খতিব জনাব মাওলানা মোঃ হাসান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন