জনপ্রিয় ডেস্ক : নাশকতার মামলায় ফের কারাগারে যেতে
হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। নাশকতার তিন মামলায় গতকাল
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি আইনজীবীদের মাধ্যমে
জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার প্রায় চার মাস পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হলো। মির্জা ফখরুলকে
যেদিন কারাগারে পাঠানো হলো, সেদিনই রামপুরা থানায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলায়
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর
চন্দ্র রায়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আরেক আদালত। জামিন বাতিল
করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোয় তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
পাশাপাশি কারাগারে আটক দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছে দলটি। ছয় মাস কারাভোগ শেষে
গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা তিন মামলায়
গত ১৪ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান।
জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
সে অনুযায়ী গতকাল বিকেল ৪টায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। শুনানি
শেষে মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
দেন। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে হাজতি পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। দশম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি ঘিরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আদোলনের সময় নাশকতার অভিযোগে
ফখরুলের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। তিন মামলার মধ্যে পল্টন থানার দুটি এবং মতিঝিল
থানার একটি মামলা রয়েছে। চিকিৎসা শেষে বিদেশ থেকে ফেরার পর ফখরুলের আবেদনে তাঁর জামিনের
মেয়াদ দুই দফায় বাড়ানো হয়। আত্মসমর্পণের আগে এই তিন মামলায় আরো সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন
তিনি। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে
ফখরুলকে মঙ্গলবারের (গতকাল) মধ্যে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ
দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে কেন তাঁকে (ফখরুল) স্থায়ী (নিয়মিত) জামিন দেওয়া হবে না তা
জানতে চেয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী মির্জা ফখরুল গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানিতে
তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য মির্জা ফখরুলকে এসব মামলায়
জড়ানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে
জামিনের অপব্যবহার করেননি। তিনি অসুস্থ, কয়েক দফা সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে
হয়েছে তাঁকে। এখনো সুস্থ হননি। আর একটি বড় রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব
পালন করছেন। এ অবস্থায় তিনি জামিন পেলে পালাবেন না। এ ছাড়া দীর্ঘদিন আগের এসব মামলায়
এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এ সময় আদালত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাঁকে জামিন দেননি। আত্মসমর্পণ
করতে বলেছেন। এই আদালতের কী করার আছে।’ জবাবে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, ‘আপিল বিভাগ এ কথাও বলেননি যে তাঁকে
জামিন দেওয়া যাবে না।’ আদালত বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগ জামিন দিয়েছিলেন।
আপিল বিভাগ তাঁর জামিন বহাল না রেখে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন। এর অর্থ হচ্ছে আপিল বিভাগের
সম্মতি নেই। এ ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে এখন জামিন দিতে পারেন না।’ গতকাল মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি
করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ
মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, নুরুজ্জামান তপন প্রমুখ। গত ৬ জানুয়ারি
মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। উল্লিখিত তিন মামলায় হাইকোর্ট গত ১৮ জুন তাঁকে জামিন
দিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে জামিন বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্টের আদেশ
স্থগিত করা হয়। পরে জামিন স্থগিত করতে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে
আবেদন করে। গত ২২ জুন শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কোনো স্থগিতাদেশ
না দিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ২৫ জুন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। সেদিন শুনানি
শেষে ২৮ জুন আদেশের দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্য
পরীক্ষার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেন এবং ওই বোর্ডের প্রতিবেদন
আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। এ প্রতিবেদন দাখিলের পর গত ১৩ জুলাই আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুলের
ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের
নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৪ জুলাই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি (ফখরুল) চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর
যান। তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হয় ২৫ আগস্ট। তবে তখনো দেশে না ফেরায় ২৩ আগস্ট আরো আট
সপ্তাহ সময় বাড়ান আদালত। এ মেয়াদ শেষ হয় গত সোমবার। কিন্তু তার আগেই তৃতীয় দফায় আত্মসমর্পণের
জন্য আরো আট সপ্তাহ সময় চেয়ে গত ২৮ অক্টোবর আবেদন করা হয়। গত সোমবার এ আবেদনের ওপর
শুনানি হয়। শুনানি শেষে ফখরুল ইসলামকে মঙ্গলবারের (গতকাল) মধ্যে মুখ্য মহানগর হাকিম
আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ফখরুলের বিরুদ্ধে গত ২৮ ডিসেম্বর
ও ৪ জানুয়ারি পল্টন থানায় দুটি এবং ৬ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গাড়ি ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, জনমনে ত্রাস সৃষ্টি, পুলিশের কাজে বাধাসহ নাশকতার অভিযোগ
আনা হয় এসব মামলায়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ চলাকালে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে
আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলন শেষে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৩ সাল থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতা, গাড়ি ভাঙচুর,
পোড়ানো, হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন
২০ দলীয় জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়। এর মধ্যে ৮৬টি মামলায় মির্জা ফখরুলকে
আসামি করা হয়। গত ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ১০টিরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো
হয়। এ নিয়ে এসব মামলায় তিন দফা তাঁকে কারাগারে যেতে হলো। উল্লিখিত তিনটি বাদে অন্য
মামলাগুলোতে তিনি জামিনে আছেন। সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর
দেশে ফেরেন মির্জা ফখরুল। খোকা-আব্বাসসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা : রামপুরা
থানায় দায়ের করা মামলায় অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়া জারি করা হয়েছে তাঁরা
হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রদল নেতা হাবিবুর
রশিদ হাবিব, জামায়াত নেতা ডা. শফিকুল ইসলাম, ড. শফিকুর রহমান, আরিফুর রহমান, জহিরুল
ইসলাম ভুঁইয়া, আনোয়ার হুদা রিপন, আশরাফুল ইসলাম, নেছার আলী, শাহারুল প্রমুখ। গত ২০
মার্চ রামপুরা থানার এসআই আল মামুন বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য
আইনে করা এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের
২৯ ডিসেম্বর মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায় বিএনপি-জামায়াতের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পালনের সময় ককটেলের বিস্ফোরণ,
গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় মানসুর প্রধানিয়া নামের একজন বাসযাত্রী
মারা যান। পরের দিন রামপুরা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। গতকাল
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। আসামিদের পক্ষে
আদালতে কোনো আবেদন ছিল না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল
আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা
জারি করেন। একই সঙ্গে পরোয়ানা তামিল-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ জানুয়ারি
দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪৯ জনের মধ্যে উল্লিখিত ৩৫ জন জামিনে ছিলেন, অন্যরা পলাতক।
গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পিপি তাপস কুমার। তিনি বলেন, মামলার অভিযোগপত্র আমলে
নেওয়ার শুনানির দিন আসামিদের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ ছিল না। কোনো আবেদন ছাড়া গরহাজির থাকায়
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিএনপির উদ্বেগ, নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি : কারাগারে পাঠানোয়
মির্জা ফখরুল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সরকারকে অমানবিক
পন্থা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি
সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক
ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়
রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ তিনি নিম্ন আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু
আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে অসুস্থ মানুষটিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায়
আমরা তাঁর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বিচলিত। আমরা আশা করব, ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে
সরকার তাঁকে সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার দেবে। আদালতও বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করবেন
বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’
রিপন বলেন, সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনীতি করবে রাজনৈতিক
প্রক্রিয়ায়। কিন্তু কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে দিতে ঠেলে দেওয়া হবে অত্যন্ত অমানবিক।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘ফখরুল ছাড়াও বিএনপির আরো বেশ কয়েকজন
প্রবীণ-বয়োবৃদ্ধ নেতাও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত এবং অনেকেই কারাগারে বন্দি। এর মধ্যে
বিশেষ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল
ইসলাম মিয়া এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক
আবদুল মান্নানের নাম উল্লেখযোগ্য। এর বাইরেও দলের অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর
রিজভীও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় কারারুদ্ধ। আমরা মির্জা ফখরুলসহ কারারুদ্ধ সব নেতার
মুক্তি দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ
জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া যশোর জেলা বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর
ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে
আসাদুজ্জামান রিপন এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পৃথক বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতিকে আবারও এক দিনের রিমান্ডে
নেওয়ায় নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল।
দুই মামলায় শওকত মাহমুদের জামিন : জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক
সভাপতি ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ দুটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। মতিঝিল
থানায় গত ১ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা দুই মামলায় তাঁর ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমীর হোসেনের
হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ জামিন মঞ্জুর করেন। শওকত মাহমুদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট
খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে
গত ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন মামলায় আটক দেখিয়ে দফায় দফায় তাঁকে
রিমান্ডে নেয়। এ পর্যন্ত তাঁকে ২০টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল
দুটি মামলায় জামিন পেলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন