আব্দুল কারিম (প্যারিস) ,ফ্রান্স : ফ্রান্সে নিযুক্ত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেছেন,দূর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের
প্রধান ধর্মীয় সামাজিক উত্সব। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর জাকজমকভাবে
তাদের ঐতিহ্যবাহী শারদীয় দূর্গাপূজা উত্সব পালন করে থাকে।
দূর্গাপূজা সার্বজনীনতার
কারণে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি সমভাবে অংশ নিতে পারে। এই কারণে
দূর্গাপূজা উদযাপন এবং এই উদযাপনের সার্বজনীনতা ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশে একটি
অসাম্প্রদায়িক ও সহিংসু এবং শান্তি পূর্ণ সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।
তিনি
বলেন, ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের এই সমাজে
অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে। তাই দুর্গাপূজা উদযাপন বাংলাদেশের কমিউনিটির জীবনে নতুন
মাত্রা যোগ করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এই উত্সাহ আমাদের হাজার বছরের ধর্মীয়
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাণী ফ্রান্সের মাঠিতে এ দেশের
মানুষের কাছে তুলে ধরতে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উস্কানির
মুখে বাংলাদেশ এখনও সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধরে রাখতে
সক্ষম হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই আবহাওয়া এই উদারতাকে ধরে রাখা। তিনি ২২
সেপ্টেম্ভর বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সার্বজনীন
পূজা মন্ডপ পরির্দশনকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা
বলেন। এসময় তার সাথে বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অব চ্যেন্সরী হজরত আলী,প্রথম সেক্রেটারি ফারজানা চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন। ব্যাপক আয়োজন আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ৬টি পূজা মন্ডপে ষষ্ঠী,
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথিতে যথাবিহিত
পূজা অর্চনার পর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সনের মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসবের সমাপ্তি
ঘটে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বিশেষ করে অন্যান্য
ধর্মাবলম্বীদের
উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। পূজা চলাকালে ফ্রান্সের প্রতিটি মন্ডপেই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও নাট্যানুষ্ঠান, ম্যাগাজিন
অনুষ্ঠান, ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। কোথাও কোথাও হয় আরতি
প্রতিযোগিতা। তবে প্রত্যেকটি পূজামন্ডপেই ছিলো বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই
সাথে ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা। মানুষের চিন্তার অপার শক্তিকে ব্যবহার করে সমাজে চলমান
অসুন্দর, নির্যাতন, অন্যায়,
দুর্নীতি, শোষন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অশুরের দমনে মানবিক ও কল্যামুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা
করতে দূর্গা মায়ের আগমন হয়েছিলা বলে জানান পুজার আয়োজকরা। অনুষ্ঠান গুলোতে এ সময়
উপস্থিত ছিলেন, বেনজির আহমদ সেলিম,এম এ কাশেম,আবুল কাশেম,ওয়াহিদ ভার তাহের,আশরাফুল ইসলাম, এনাতুল্লাহ ইনু,আকম সেলিম,মাসুদ হায়দার,টিএম রেজা,সুব্রত শুভ,রজত কান্তি,আবু তাহির,লুত্ফুর রহমান,অপু আলম,শামসুল ইসলাম,শ্যামল দাস সানি,সুকান্ত পাল,নারায়ণ চন্দ্র প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন