এস.আলম ,মাদ্রিদ
: বাংলাদেশ দুতাবাস মাদ্রিদের উদ্যোগে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা
সভা অনুষ্টিত হয়েছে । গত ১৫ ই আগষ্ট মাদ্রিদে অবস্থিত দুতালয়ের
হল রুমে অনুষ্টিত সভায় চার্য দা এফেয়ার্স শাখাওয়াত হুসেনের পরিচালনায় মাননীয় রাষ্ট্রপতি,প্রধান মন্ত্রী
ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যতাক্রমে কমার্স মিনিস্টার নাবিদ শাফিউল্লাহ ও
ফাষ্ট সেক্রেটারী শরীফুল ইসলাম । শোক সভায়
সামাজিক সংগঠন ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন স্পেন আওয়ামীলীগের
সহ সভাপতি জাকির হুসেন, সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নয়ন, সাংবাদিক এ কে এম জহিরুল ইসলাম,
মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের
সভাপতি ডব্লিউ এইচ
রবিন , আব্দুল কাইয়ুম সেলিম, রিজবী
আলম,দুলাল ছাফা,তাপস দেবনাথ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন স্বাধীনতার
পরাজিত অপশক্তি বঙ্গ বন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাংলাদেশ
থেকে চিরতরে মুছেদিতে চেয়েছিল কিন্তু তার যোগ্য কন্যা প্রধান
মন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হতে দেন নি । সকল চক্রান্তকে নস্যাত করে দেশকে
এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে। অনুষ্টিত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন খসরু চৌধুরী, আয়োব আলী সোহাগ,বদরুল ইসলাম
মাষ্টার, আবুল হুসেন ও মামুন হাওলাদার । এ সময় বক্তারা
দেশের
চলমান এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় সকলকে এক হয়ে কাজ করে জাতীয় শোক দিবসকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার
আহবান জানান।
বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধা ও প্রবীন স্পেন প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ত গোলাম মাওলা তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন স্মৃতি কথা তুলে ধরে
বলেন তাদের রক্ত
,ঘাম ও প্রানের বিনিময়ে অর্জীত লাল সবুজের পতাকা ,স্বাধীন
স্বার্বভৌম বাংলাদেশে আজ অনেক মোক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবার অবহেলিত, মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষের শক্তি ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সে সকল অবহেলিত পরিবারের প্রতি আরো বেশিকরে
যত্নশীল হতে হবে, তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যদি
মুক্তিযুদ্ধের ডাক না দিতেন আর মুক্তিযুদ্ধারা ঝাঁপিয়ে না পড়ত তাহলে হয়তোবা আমরা সবুজ
একটি পাসপোর্ট নিয়ে বহির্বিশ্বে নিজেদেরকে একজন বাংলাদেশী হিসাবে পরিচয়
দিতে পারতাম না বা দেশের হয়ে সন্মান জনক পদে চাকরী করতে পারতেন না ।
পক্ষান্তরে
যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো তাহলে দেশদ্রুহী হিসাবে আমাদের ফাঁসী বা কারাদণ্ড হতো
ঠিক বর্তমান যুদ্ধপরাধী দের বিচারের মতো, সুতরাং দেশ ও জাতীর জন্য যারা জীবন দিয়েছে বা যুদ্ধ করেছেন তাদের কে অবশ্যই
মূল্যায়ন করতে হবে সবার আগে সর্বত্র। অনুষ্টানে বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার
পরিবারের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন