বাহার উদ্দিন বকুল, সৌদি আরব: দক্ষিণ
আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দের জোয়ারে এসে যুক্ত হয় ঈদ-আনন্দ। জেদ্দা প্রবাসী
সমাজ এই দুই আনন্দ উৎসব পালনে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজন করে আনন্দ উৎসবের। ১৯
জুলাই, রোববার সন্ধ্যায় জেদ্দা কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সিরিজ বিজয় ও ঈদ-আনন্দ
উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মোঃ মোকাম্মেল হোসেন। প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা, স্বনামধন্য সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সৌদি
আরবে বাংলাদেশ রাষ্টদূত জনাব গোলাম মসীহ এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক
জাবেদ পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে জেদ্দা এবং মক্কার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং বিশিষ্ট পেষাজীবিগণ সহ সর্বস্তরের
প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
কনসাল মোঃ আলতাফ হোসেন-এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন
বিশেষ অতিথি রাষ্টদূত জনাব গোলাম মসীহ এবং অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী। প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় ইকবাল সোবহান চৌধুরী উপস্থিত সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্যে বড় অর্জন। খেলোয়ারদের
ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রিকেটে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তেমনি এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনীতিতে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার ধাপ অতিক্রম
করছে, যাতে প্রবাসীদের অবদান প্রশংসনীয়। জননেত্রী শেখ
হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সকল বাঁধা ঠেলে, দেশকে আমরা
সকলে মিলে এগিয়ে নেব এই আশাবাদ জানান তিনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর জ্বালাও পোড়াও করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িতহবেনা বাংলাদেশের মানুষ সেটা বাস্তবায়ন হতে দেবে না।দুতাবাস এবং কনস্যুলেটের উচিত প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ তাদেরকে সহযোগিতা করা এবংকেউ বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পাশাপাশি প্রবাসী সাংবাদিকদেরকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে বিশ্বে বাংলাদেশেরভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা।
সভাপতির বক্তৃতায় ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মোঃ মোকাম্মেল হোসেন প্রধান অতিথি এবং বিশেষ
অতিথিগণকে অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সিরিজ
বিজয় ও ঈদ-আনন্দ উৎসব প্রবাসীদেরকে আন্দোলিত করেছে। এই আনন্দ উৎসব তথা মিলন মেলা আয়োজনে
সহায়তার জন্যে তিনি জেদ্দা প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রবাসে সামাজিক
সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
জোড়া আনন্দ উৎসব পালনে জোড়া গরু
জবাই করে আপ্যায়নের মাধ্যমে শেষ হয় আনন্দ উৎসবের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন