সুফিয়ান আহমদ,বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড
করা নিয়ে বিতর্কের জের ধরে গতকাল সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের দু’ছাত্র
পরস্পরকে ছুরিকাঘাত করেছে । ছুরিকাঘাতে গুরত্বর আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে বিয়ানীবাজার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে
সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে গুরুত্বর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত ছাত্ররা হলো, পৌরশহরের নবাং গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের
ছেলে আব্দুল হাছিব (২০) ও জলঢুপ গ্রামের মারুফ আহমদ চুনু মিয়ার ছেলে রেদওয়ান আহমদ
(২০)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রচুর রক্তক্ষরণে গুরুত্বর আহত রেদওয়ানের অবস্থার অবনতি
ঘটলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তবে এই ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় এরিপোর্ট লেখা
পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয় নি।
জানা যায়,গতকাল সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের
২য় বর্ষের ছাত্র রেজওয়ান ও হাছিবের মধ্যে ফেসবুকে
একটি ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা উভয়েই পরস্পরকে
ছুরিকাঘাত করেন। এসময় উভয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে কলেজে অবস্থানকারী অন্যান্য
ছাত্ররা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে প্রচন্ড রক্তক্ষরণে
গুরুত্বর আহত রেদওয়ানের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রাতেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আর অপর
আহত ছাত্র হাছিব ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে নির্ভরযোগ্য একটি
সূত্রে জানা যায়, সোমবার এই দু’ছাত্র উভয়ের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হলেও বেশ কয়েকদিন
ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যতা চলে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে তারা সোমবার মারামারিতে লিপ্ত
হয়।
এব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
জুবের আহমদ পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি অভিযোগ
পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন