
এসময় তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র
মোহাম্মদ চিন্তা করলো এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত।
তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে।
এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’ তিনি
বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও বেশি
হজ ও তাবলীগ জামাতের।’ হজ
প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন,
‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের
কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের
টাকা দিয়ে আসছে।’ এ সময়
তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাবলীগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে।
নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে
নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন লতিফ
সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের
১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়।
নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রায় প্রতিটি মামলায় আদালত তার
বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে
তাকে মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই থেকে আর দেশে ফেরেননি লতিফ
সিদ্দিকী। তিনি ভারতের অবস্থান করছিলেন বলে অনেকে দাবি করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার খবরে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আবার সরব হয়ে ওঠেছে। তারা লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি করছে। দাবি না মানলে আগামীকাল হরতাল দেয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
সম্পর্কিত আরও খবর । গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েই দেশে ফিরলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ।
লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার খবরে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আবার সরব হয়ে ওঠেছে। তারা লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি করছে। দাবি না মানলে আগামীকাল হরতাল দেয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
সম্পর্কিত আরও খবর । গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েই দেশে ফিরলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন